শেষবারও যখন তার সাথে দেখ হলো না, কে জানতো
ভাদ্রের মধ্যদিনে রাক্ষসের হা-মুখ পথের ওপর আগুন ছড়িয়ে
রাখবে। নিজের চেনা শহরও কতদ্রম্নত অচেনা হয়ে উঠতে
পারে তা একমাত্র আমিই অনুভব করতে পারছিলাম! সে কী
মানুষ না যমদূত! কী এক অশুভ ইশারা বারবার ভূতের
নকশা তৈরি করছিল; চারিদিকে শান্ত নীরবতা; দেখলাম
সন্ধ্যার আগে কাঁঠাল ডালে ঝুলে পড়েছে কাঁঠবিড়ালীর
চিবুকের ডগা! বারান্দায় একাকী বসেছিল হাতাওয়ালা
লাল চেয়ার। একটি শালিখ উড়ে এসে গ্রীলে ঠোঁট ঘষছিল!
এ য্যানো বিরতীহীন এক মহোৎসব! মনে পড়ে যায় কানামাছি
ভোঁ ভোঁ খেলার দিনগুলির কথা, হৃদয় কী বায়োস্কোপ না বেদের
সাপের বেড়ি? দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় গ্রন্থাগারের গ্রন্থ ও আলোহীন
পথের ওপর দুলে উঠলো চিমত্মার ছায়া মানুষ আসলে কী চায়? নক্ষত্রের
মস্নান আলোয় আমি যখন বাড়ি ফিরছিলাম শাদা গাড়িটির পাশ ঘেষে
হেঁটে যাচিছল অন্ধকার ও জিজ্ঞাসা! পৃথিবীর সব ফড়িং এর
ডানায় ভর করে উড়ে যাচ্ছিল ঘাসহীন মরম্নভূমির দিকে। প্রতিরাতে চাঁদের
আলোয় যখন তুমি পাশা খেলতে খেলতে জীবন উল্টে দাও অনমত্ম মৃত্যুর মতো
তখন মূর্খ উচ্ছ্বাসে অসীম বেদনারা তোমার অমত্মরঙ্গ বন্ধু হয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে
জিরাফের গলা! শূকরের চিৎকারের সাথে উঠে আসে দুর্নিবার বেদনা আর রাক্ষস
রাজার গল্প! নগ্ন নির্জন উল্লাসে মেতে আছো পরকীয়া ঘুমের ভেতরে!
বিস্তীর্ণ উল্লাসে বিবর্ণ ছায়ার নিচে আগুন জ্বলছে ধিকি ধিকি…