প্রতিদিন আমার
দরজায় মৃত্যু ওৎ পেতে থাকে।
ওৎ পেতে থাকে শকুণের দল আমায়
নৃশংস ভাবে হত্যা করবে বলে।
তবুও আমি দরজা খুলি,
মৃত্যুকে কাছ থেকে রোজ দেখি,
আলিঙ্গনে জড়াতে চাইলে মৃত্যু আর ধরা দেয় না,
শকুনেরা ঘিরে ধরে আমায়,
ছিড়ে খায় আমার নারীত্ব,
ধ্বংস করে আমার একটু একটু করে
বেড়ে উঠা শৈশব, কৈশর, যৌবনের অস্তিত্ব।
মৃত্যুকে বলি- কেনো রোজ ওৎ পেতে থাকো দরজার বাইরে?
তুমিও আমায় ছিঁড়ে খাও,
টেনে হিঁচড়ে ফেলে দাও আমার অস্তিত্বের দেয়াল।
রোজ একটু একটু শেষ হবার চেয়ে,
একেবারেই তো মরা ভালো।
শহরের একটি কোণায় একটি ঘর,
অন্ধকার……
দম বন্ধ করা অন্ধকারে আমি আলো খুঁজি রোজ বিকেলে।
আলো খুঁজি শেষ রাতের হিংস্র ছোবলে।
আলো খুঁজি রোজ যেখানে সূর্য উঠে।
পাই না…..
অবচেতন মনে শুধু একটি আকুতি,
মৃত্যু আমায় আলিঙ্গন করো,
আলিঙ্গন করো…….।
যখন ছিলাম ছোট্ট একটি গাঁয়ে,
সৎ মায়ের সংসারে,
অভাব ছিলো রোজ,
ছিলো কত ভৎসনা, আমি কালো বলে,
ছিলো কত প্রহার একটু কাজের ভুলে,
তবু সয়ে গেছি সব নিরবে নিভৃতে,
পাইনি তবুও নিস্তার লোভের পন্য হয়ে,
বিক্রি হয়েছি লালসার দালালে,
মিলেছে ঠাঁই এই নষ্ট পল্লীর কোলে।
এখানে রোজ মৃত্যু হয় আমার নারীত্বের,
এখানে রোজ মৃত্যু হয় আমার সতিত্বের,
এখানে মেলেনা মুক্তি,
এখানে রোজ দরজায় মৃত্যু কড়া নাড়ে….।