মেহেফিল -এ- শায়র জহির হাসান

মাঠের গল্প

মাঠের ভিতর বাতাস আসে।
শূন্য মাঠ ঘটের মতো ভরে।
তবু বাতাসের ঘর তৈয়ার হয় না।
কোথায় গভীর একটা ফাঁকা রই গেছে !
ক্রোধ হারা সন্ধ্যার ছোট ছোট কথা নিয়া ভাবে মাঠ।
বাচ্চা হারানো কুয়াশাগের কথা ভাবে।
আকাশের নিচে লজ্জায় লজ্জায় মাঠ রয়
ন্যাংটা জন্মের শিশুর মতো।
সময়টা আকাশ
নিজের হাতের মুঠায় রাখে শেষ মেশ!
মাঠ
কাজ করি
কর্ম ও কর্তার মাঝখানে গিয়া আকাশের মধ্যে একটু জিরায়!

এই বাড়িতে

দেয়ালের পর কাঠবিড়ালির দৌড় দেখি
যেন রইদনাক ফুল হয়,
তারপর সারা সকালটা গড়ায় দেয়াল ধরি,
একটা দোয়েল ডিম জারি হইলে
অনেক দোয়েল চিল্লায়ে ধরে বাগান,
একদিন আসে আসে করি শেষে আসে,
তারার মতন গোল চোখ ঘুঘু তার
চোখের বর্ডার আলতার রং পাছে
পায়ের রঙের সাথে মিশিবার চায়,
এ বাড়িতে আসি যেই হাঁসগুলি দুলি দুলি ও বাড়িত যায়,
ওদের ঘ্রাণের ভিতর ঘুরি ঘুরি থামি,
বাতাস হবেনে আসল শরিক
আডিয়া কলার ঝাড়ের নিকটে আসি,
আমি শুনি জলের মর্মর কল পাড়ে তড়পায়,
তারে ঢাকিবার আরও মিহি ধনি আছে
এ বাড়ির অনেক অ-বাক কণ্ঠস্বর আছে!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।