মেহেফিল -এ- কিসসা ড. মো. এরশাদুল হক (প্রবন্ধ)

উত্তরাঞ্চলের জনপ্রিয় লোকসংগীত : ভাওয়াইয়া

লোকসংগীত আবহমান মানব সমাজের সৃষ্টিশীল চেতনার সাক্ষর বহন করে। কালের বিবর্তন ধারায় সঙ্গতি রক্ষা করে এখনো লোকসংগীত গভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ শৈল্পিক আবেদন ছড়িয়ে দেয়। সে কারণেই লোকসংগীতের জনপ্রিয়তা এখনো তুলনা রহিত। লোকসংগীতের অন্যতম ধারা ভাওয়াইয়া। ভাওয়াইয়া শব্দটির বিশ্লেষণে ড. হরিপদ বলেছেন, ‘ভাওয়া থেকে ভাওয়াইয়া গান, মইষাল রাখালদের গান। ‘আলি’ ও ‘ইয়া’ প্রত্যয় দুটি সম্পর্কিত বা সম্বন্ধযুক্ত ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়। তবে ভাওয়াইয়ার সর্বাধিক ও প্রচলিত মতটি পাওয়া যায় প্রখ্যাত ভাওয়াইয়া সাধক সুরেশ রায় বসুনীয়ার অভিমত থেকে। তিনি বলেন- ‘ভাবপূর্ণ যে গীত মানুষকে ভাববিহ্বল করে দেয় তাই ভাওয়াইয়া।’ ভাব>ভাও+ইয়া= ভাওয়াইয়া। তাই ভাওয়াইয়ার বুৎপত্তিগত অর্থ ‘যে ভাবে’। অর্থাৎ ভাবুকের গান। বলা হয়, ভাওয়াইয়া সংগীত উত্তরাঞ্চলের মানুষের প্রাণের গান। এ গান মানুষের মনের ভাব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। এর ভাব, ভাষা, সুর, উপমা, শব্দ, ব্যঞ্জনা প্রভৃতির সঙ্গে রয়েছে এ অঞ্চলের গভীর সম্পর্ক। ভৌগোলিক দিক থেকে দেখলে বোঝা যাবে, অতীতে এ অঞ্চল ছিল অনেকটা বন্ধুর, যাতায়াত ব্যবস্থ’া ছিল না উন্নত, আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত ছিল এখানকার মানুষ, বাহন মাধ্যম বলতে ছিল স্থলপথে গরুর গাড়ি, পালকি এবং নৌপথে ছিল নৌকার প্রচলন। মূলত বন্ধুর পথে গরুর গাড়ি চালানোর সময় গাড়ির চাকার উঠা-নামার কারণে এ সংগীতেরও সুরটা অনেকটা ওঠা-নামা সুরে গীত হয়। যা বর্তমানেও এ গানের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। সংগীতে যেমন নারীর আর্তি প্রকাশ পেয়েছে তেমনি পরিস্ফুটিত হয়েছে সমাজের অন্যায়-অসঙ্গতি, নির্যাতন-নিপীড়ন, শ্রেণি বৈর্ষম্য প্রভৃতি। নিম্নে স্বল্প পরিসরে উত্তরাঞ্চলের লোকসঙ্গীত- ভাওয়াইয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
ভাওয়াইয়া সংগীতে মানবিক প্রেমানুভূতির রূপায়ন একটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বিষয়। উল্লেখযোগ্য এ কারণে যে, সব ধরনের দৈবী রূপক ভেদ করে মানুষের প্রেমানুভূতি বিশুদ্ধ ব্যক্তি মানুষের প্রেম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার যে পর্যায়ক্রমিক উত্তরণ ঘটেছিল, ভাওয়াইয়া গানে তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। অনেকের ধারণা ভারতের কুচবিহার, জলপাইগুড়িতে এ সংগীতের উদ্ভব। আবার অনেকে মনে করেন, ভাওয়াইয়া হলো প্রাচীন কামরূপের মূল জনগোষ্ঠী রাজবংশীদের সৃষ্টি। একথা বলা প্রয়োজন যে, শুধু রাজবংশীরাই নয়, এ অঞ্চলের ব্রাহ্মণ, খেন, যোগী, ধোপা, কোচ, মেচ, রাভা, মুসলমান যারা কয়েক শত বছর ধরে এখানে বাস করেছেন তাদের সকলেই মূল রাজবংশী সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক। অর্থাৎ বলা যায়, উল্লিখিত অঞ্চলের মানুষজন তাদের ধ্যান-ধারণা, আচার-আচরণ, জীবনযাত্রার সুখ-দুঃখ, তাদের শিল্পীবোধ, ভূ-প্রকৃতি, নদী-প্রকৃতি, আঞ্চলিক ভাষা সবকিছুর মধ্যেই উৎপত্তি হয়েছে এই ভাওয়াইয়ার। কিন্তু অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টি নিয়ে দেখলে পরিদৃষ্ট হবে, সেখানে প্রেমের হৃদয়ঘটিত সৌকর্য বিলাস কেলিকলার চাতুর্যকে ভেদ করে এগুতে পারেনি। দেশ বিভক্তির পরপরই লোককবিরা এ কাজকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরা রাধা-কৃষ্ণের প্রেম কাহিনীকে ব্রজলীলার দূরত্ব থেকে নগরের লৌকিক সংগীতে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। তাইতো ভাওয়াইয়া সংগীতে বিধৃত বিরহ রাধা-কৃষ্ণের মাথুর বিরহের চেয়ে লৌকিক নায়ক-নায়িকা মিলনের ব্যর্থতা, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না তথা বিরহ-বেদনা অধিকতর সমীপবর্তী। মানুষের যে কয়টি হৃদয়বৃত্তি তার সৃজনশীল চেতনাকে প্রবুদ্ধ করে দেশপ্রেম এর মধ্যে অন্যতম। উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে ভাওয়াইয়া সংগীত বিপুলভাবে পল্লবিত হয়ে ওঠে। শুধু প্রেম-বিরহ, নিপীড়ন, শ্রেণি বৈষম্য, দেশাত্মবোধ প্রভৃতি ভাওয়াইয়া সংগীতের অনুষঙ্গ হয়নি; এ গানে স্থান পেয়েছে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ, বাংলা কৃষকদেরও জাতীয় চেতনাবোধে জাগ্রত হওয়ার অনুপ্রেরণা। যেমন রাজনীতিকদের উদ্দেশ্যে ভাওয়াইয়া সংগীত-
‘যে আমার কথা শোনে, তারি কথা শোনে লোকে’
আবার বাংলার প্রান্তিক চাষিদের উদ্দেশ্যে-
‘ওঠরে চাষি জগৎবাসী ধর কষে লাঙ্গল
ওরে ভাই, আমার ছিল প্রাণের গান
গলায় গলায় ছিল ভাই গোলায় গোলায় ধান,
আজ কোথায় বা সে গান গেল ভাই কোথায় সে কৃষাণ
ও ভাই মোদের রক্ত জল হয়ে আজ ভরতেছে বোতল।’
দুঃখজনক হলেও একথা সর্বজন স্বীকৃত, যে চাষির হাড় ভাঙা পরিশ্রম আর রক্তের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশে চাষিকেই সর্বত্র উপেক্ষা করা হয়েছে, উপেক্ষিত হয়েছে তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি ভাওয়াইয়া সংগীত। বলা হতো, বাঙালির ছিল গোলা ভরা ধান, আর গলায় ছিল গলা ভরা গান। কিন্ত বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ উদ্ধৃতি আর সর্বজন বিদিত নয়। কারণ সমাজ সভ্যতার বিবর্তন এবং আকাশ সংস্কৃতির করাল গ্রাসে বাঙালির প্রাণ প্রিয় সংগীত ভাওয়াইয়া আজ মৃত প্রায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের প্রধান পথ হতে পারে সরকার ও সুধী মহলের সুনজর। সকলের ঐক্যমত ভাওয়াইয়া সঙ্গীতকে নিয়ে যেতে পারে বহু পথ। তাইতো ভাওয়াইয়ার প্রাণপুরুষ আব্বাস উদ্দীনের কণ্ঠে গাওয়া অন্য একটি সংগীতের উদাহরণ তুলে ধরা যায়-
আজ জাগরে কৃষাণ সব তো গেছে
কিসের বা তোর ভয়
এই ক্ষুধার জোরেই করব এবার সুধার জগৎ জয়
ঐ দিগি¦জয়ী দস্যু রাজার হয়কে করব নয়
ওরে দেখবে এবার সভ্য জগৎ
চাষার কত বল।
উদ্ধৃত সংগীত থেকে বোঝা যায়, ভাওয়াইয়া সংগীত সকল জরাজীর্ণতাকে ছাপিয়ে মুক্তির মন্ত্রে উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠার মন্ত্রনা জুগিয়েছে।
কালপরিক্রমায় ভাওয়াইয়া সংগীতে অনুপ্রবেশ ঘটে রাজনীতি। ইংরেজ বশ্যতা ও ইংরেজ শাসনের সংস্পর্শে এসে এই রাজনৈতিক প্রেরণার উৎপত্তি ঘটে। ক্রমে দেশোন্নতি ও সামগ্রিক সামাজিক মুুক্তির নানা আকাঙ্খা এসে এর সঙ্গে যুক্ত হয়। পাশ্চাত্য দেশাত্মবোধ সাহিত্য, সংগীত ও নানা চিন্তাশীল রচনা বাঙালির অন্তরে এই প্রেরণা সঞ্চারে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। শুরুর দিকে এ সংগীতে দেশের নিসর্গ শোভা বা সমাজজীবনের বর্ণনা থাকলেও স্বদেশ সংহীত বলতে দেশনির্ভর যে শ্রেণির সংগীতের কথা বুঝি, তার যথার্থ বিকাশ এর আগে ঘটেনি। এ বিষয়টি গীতা চট্টোপাধ্যায়ের ‘বাংলা স্বদেশীগান’ গ্রন্থে’ স্পষ্ট প্রতীয়মান। তার মতে ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইংরেজের সংস্পর্শে এসে শাসক-শাসিতের সম্পর্কে উপলদ্ধির মধ্য দিয়েই বাঙালির মনে স্বদেশ প্রেমের জন্ম হয়। দেশ বন্দনা, পূর্ব গৌরবগাঁথা, জন্মধন্যতা প্রভৃতি চিরন্তন বোধ সেই পরধীনতার বোধ থেকেই বিপুল বেগে উৎসারিত হয়ে ওঠে।
তৎকালীন বাঙালি মুসলমানগণ নানাভাবে নির্যাতিত হয়ে নিজন্ব ঐতিহ্য থেকে বিস্মৃত হয়ে তাদের অবস্থা যে অত্যন্ত সংকটাপন্ন হয়েছিল তা ঐতিহাসিক সত্য। মুসলমানদের কথায় আসা যাক- তাদের মধ্যে যে গোঁড়ামী আর কুসংস্কার ঢুকে পড়েছিল তা তৎকালীন সময়ে অন্য কোন দেশের মুসলমানদের মধ্যে ছিল না। বললে অত্যুক্তি করা হবে না, সমাজের এ সব তথাকথিত কল্যাণকামীরা খাল কেটে যে বেনোজল এনেছিল, তার মধ্যে শুধু কুসংস্কারের অজস্র কুমীর এসে ভীড় করেছিল। ফলে তাদের কুসংস্কারময় বিকৃতবাণীর প্রচারে সমাজ হয়ে উঠেছিল দুর্বল আর জীবন হয়ে পড়েছিল অজ্ঞতায় দুর্বিষহ।
একসময় উত্তরবঙ্গে ছিল বিস্তীর্ণ তৃণভূমি, গরু-মোষ চরানোর মাঠ, নদীর চরভূমি, রাখাল বন্ধু, ঘন জঙ্গল, গরু-মোষের বাথান, গরু-মোষের গাড়ি প্রভৃতি। কিন্তু‘ আজ রাজনীতি, সমাজনীতির কারণে জমিদার নেই, বিস্তীর্ণ তৃণভূমি নেই, রাখাল বন্ধু নেই, গরু-মোষের গাড়ি নেই, গাড়িয়াল বন্ধু নেই, মাহুত বন্ধুও নেই। এরই প্রতি”ছবি ধরা পড়েছে বর্তমান সময়ের গীতিকার রবীন্দ্রনাথ মিশ্রের গানে-
মইষাল বন্ধুর দোতারা আর রাখাল বন্ধুর বাঁশি
গাড়িয়াল বন্ধুর ভাওয়াইয়া গান, কইলেরে উদাসী।
ও হায়রে হায়…
গাড়ি খেদায় গাড়িয়াল ভাই উচা দোলা ঘাটা
পরঘরী নাইওরি ধরি ভাওয়াইয়া হাকেয়া
গাড়ির জুয়াতে বসি॥
অথচ এই মইষাল বা গাড়িয়াল বন্ধুকে কেন্দ্র করে গীত হয়েছে একাধিক ভাওয়াইয়া সঙ্গীত। যেমন-
মইষ চরাণ মোর মইষাল বন্ধু
বন্ধু ঐনা নদীর চড়ে
আজি ক্যানে ঘুণ্টির বাইজান
না শুনং মুই কানে
মইষাল রে।
উত্তরবঙ্গে এক সময় ছিল দিগন্ত বিস্তৃত ধু-ধু মাঠ। সেখানে উদাস করা সুরে গাইতো গ্রামের নিরক্ষর সহজ সরল চাষা। সে গান বিরহ-মিলনের গান। তাদেরই হাসি-কান্নার, সুখ-দুঃখের গান। উদাস করা সুরে গেয়ে উঠতো পল্লীর অনামী গায়ক-
‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে’ অথবা ‘ও কি গাড়িয়াল ভাই/কত রব আমি পšে’র দিকে চায়া রে।’
এই যে গানের বিষজ্বালা বিরহীর বুক ফাটা কান্না, সে তো ভুলবার নয়। তাইতো এই সুরের মর্মব্যথা আলোড়িত করেছে সংগীত অনুরাগী বাঙালিসত্তাকে। অন্যদিকে প্রেমের অমোঘ বাণী ঝংকৃত হয়েছে ভাওয়াইয়ার আরেকটি সংগীতে- ‘পীরিতে মজিলে মন কিবা হাড়ি কিবা ডোম’
অথবা
‘পীরিত রতন পীরিত যতন পীরিত গলার হার
পীরিত কইরা যে জন মরে সফল জীবন তা’।
অতএব বলা যায়, প্রেম সম্পর্কে এমন ধারণা পোষণ করেই পল্লী গায়ক দুরন্ত সাহসের পরিচয় দিয়েছে। এতে ফুটে উঠেছে তাদের প্রেম দর্শন। তবে এ প্রেমের পথ কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, ছিল কণ্টকাকীর্ণ। বিশেষ করে সমাজ কাঠামো কঠোর হওয়ায় প্রেমে বিষাদের ও বেদনার সুর ফুটে উঠেছে অধিক মাত্রায়।
পল্লী সমাজে একান্তবর্তী পরিবারের বন্ধন আজ বিস্মৃত প্রায়। কিন্তু কিছুদিন পূর্বেও একান্তবর্তী পরিবার ছিল মিলন মাধুর্যের কেন্দ্রস্থল। একান্তবর্তী পরিবারের শান্তি-শৃঙ্খলা গড়ে উঠতো সবলে ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে। এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করতো রমণীরা। কিš‘ সেই রমণীরাই যখন বেঁকে বসে তখন কি একান্তবর্তী পরিবারে বসবাস করা সম্ভব? কখনই না। এই একান্তবর্তী পরিবার ভাঙ্গনের পেছনে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে নারীরাই। একান্তবর্তী পরিবার ভাঙ্গনে নারীর কণ্ঠেই ভাওয়াইয়া সুরে ধ্বনিত হয়েছে এভাবে-
‘আরে ও ও মোর মাইয়্যোর বাপ
মোক ধরি তুই জুদা হয়ে খা।’
এখানে নববধূ তার সন্তানের বাবাকে (স্বামী) বলছে তাকে নিয়ে সম্পূর্ণভাবে সংসার আলাদা করে খেতে। তা না হলে সে (স্ত্রী) নিজেই স্বামী সংসার ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাবে। গ্রামীণ জীবনের অভাব-অনটন, দুঃখ, শোক-বঞ্চনা-লাঞ্ছনার মধ্যেও হাসির ঈষৎ রেখাটি যে বিলীন হয়ে যায়নি ভাওয়াইয়া গানে তারই পরিচয় পাওয়া যায়।
অবৈধ ও পরকীয়া প্রেম, অবাঞ্ছিত ব্যক্তি ও ঠাট্টা মস্করার পাত্রকে অবলম্বন করে হাস্যরসের বিষয়টি এ সংগীতে ফুটে উঠেছে অত্যন্ত চমৎকারভাবে-
‘আমার বাড়ি ছাড়িয়া কোথা যান
দোহাই আল্লাহর মোর মাথা খান
কাল মুরগিটা ওমন বইস্যাছে
ক্যানে আশা দিলি, বাসা দিলি
কলার থোপত মোক বস্যাইয়া থুলি
সারারাত মোক মশা কামড়াইয়াছে।’
পরিশেষে বলা যায়, ভাওয়াইয়া সংগীতে মানব মনের যাবতীয় চিন্তা-চেতনা অত্যন্ত চমৎকারভাবে বাঙ্কময় হয়ে উঠেছে এর বাণী ভঙ্গিমায়। এ সংগীতে যেমন নর-নারীর প্রেম, বিরহ, কান্না প্রভৃতির চিত্র পরিষ্কারভাবে পরিদৃষ্ট তেমনি দেশাত্মবোধ, মানবিকবোধ, মূল্যবোধ যাবতীয় বিষয় স্থান পেয়েছে এ সংগীতের সুর ব্যঞ্জনায়। সবশেষে এ সঙ্গীতের আবেদন সর্ব যুগে সর্বজনীনতা লাভ করুক, এর পরিসর যুগ থেকে উত্তর আধুনিকতার যুগে বিস্তার লাভ করুক এ প্রত্যাশা আজ সর্বজন বিদিত।
লেখক- লোকসংস্কৃতি গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।