মেহফিল -এ- কিসসা নুসরাত রীপা
by
TechTouchTalk Admin
·
Published December 20, 2019
· Updated December 19, 2019
আষাঢ়ে পূর্ণিমা
বাতাসটা ভীষণ ভালো লাগছে,কী মিষ্টি গন্ধ ভেসে আসছে–মৃদু স্বরে বললো মিতিল। তানজির মিতিলের কাঁধে হাত রেখে বললো,হুমম। হাস্নাহেনার গন্ধ!
ওহ্! হাস্নাহেনা ফুটেছে বুঝি!
তানজির মিতিলের হাতটা নিজের হাতে নিয়ে বললো,হা। সেই যে তুমি আমি কার্জন হলের সামনে থেকে কিনেছিলাম,সেই গাছটা!
কয়েক সেকেন্ড নীরবতার পর হঠাৎ মিতিল বললো, আজ বাংলা কতো তারিখ বলো তো? কি মাস চলছে?
আজ আষাঢ়ের তিরিশ। কেন গো?
এ্যাই আজ পূর্ণিমা না? মিতিলের উতলা কন্ঠ।
তানজির বললো, হ্যাঁ। আজ আষাঢ়ের পূর্ণিমা!
মিতিল আনমনে বললো, চাঁদের আলোর বন্যায় ভাসছে চারপাশ! চলো না ছাদে যাই।
ছাদে? ছাদে কি করবে?
জোসনা-স্নান করবো। নেবে না?
কেন নেবো না? চলো –মিতিলের হাত দুটো পরম মমতায় ধরে তানজির ছাদে এসে দাঁড়ায়!
গত কদিন এক নাগাড়ে বৃষ্টির পর আজ দুপুরের শেষে রোদ উঠেছে। এখন রাতের আকাশ মেঘমুক্ত, পরিষ্কার। যেন নীলাভ মসলিন শাড়ির সামিয়ানা টাঙিয়ে দিয়েছে কেউ। তার মাঝে রূপোর থালার মতো মস্ত গোল চাঁদ ঝকমক করছে। চাঁদের আলোয় থই থই করছে চারদিক।
বৃষ্টি ধোয়া সতেজ বাতাসে হাস্নাহেনার ফিনফিনে সুবাস ভেসে বেড়াচ্ছে।
মধ্যরাতে চরাচর জুড়ে চাঁদের আলোয় ডুবতে থাকে দুজন!
মিতিল ফিসফিস করে বলে, আমি তো অন্ধ,দেখতে পাই না সোনা! তুমি আজকের জ্যোৎস্নার রূপটা একটু বর্ণনা করবে? — প্লিজ!