মানব সংগ্রামের কথা কই কবিতায় মানিক বৈরাগী
দাঁত সামলাও নিজের
সত্য ও ন্যায়ের লড়াই একাই করতে হয়
পাশে থাকে না কেউ,আড়ালে টিটকারি কপচায়
অপর প্রান্তে কেউ কেউ মুচকি মুচকি হাসে
উপদেশ নির্দেশ পরামর্শ সাবধান বাণীও বর্ষণ করে
সত্যা মিথ্যার মিশ্রিত দ্রবণ পান করায়
তথ্য উপাত্ত হাজির করে লিখিত অলিখিত
পাঁদমারা আওয়াজের হুংকার শুনি মাঝে মাঝে
নারিচ্ছা বন্দুক, বাঁশ পাতার ছুরিও দেখায়
শুনো জঙ্গি মৌলবাদের দল
মেধাও কলমের যৌথশক্তি,তুমাগো অস্ত্রের অধিক শক্তিধর
শোন
তোদের থুতু নয়, বালু দিয়ে চুদেছি বহুকাল আগে
লাগতে আসবি লাল শক্তির কাস্তে দিয়ে কাটবো
হাতুড়ি দিয়ে দাঁতাল দাঁত,হাত পা ভাঙবো
কমরেড
একাই লড়ে মানুষের ভালোবাসায়
মানুষের প্রেরণায় সবাইকে নিয়ে বাঁচে।
বসু
রাউফুন বসুনিয়া,বসু
মিছিলের উজ্জল মুখ
শ্লোগান মুখর গরিবের মাইক
ক্যাম্পাসের আলোকজ্জল মেধা
গ্রাম থেকে আসা তরুণ শিক্ষার্থির ঠিকানা।
বসু
যে জীবন সপেছ অকাতরে প্রাণ
জীবনবিদর্ণ আদর্শের পতাকা আজ ক্ষমতায়
হোস্টেল ক্যান্টিন ক্যাম্পাসের অনুকম্পারাও আজ মন্ত্রী এমপি
তারা পতাকা উড়িয়ে তেলপুড়ে গাড়ী হাকিয়ে ঘুরে দিগ-বিদিগ
আজ এই দিনে তারা ভুলে গেছে কি তোমায়?
ভুলে যাওয়াটাই ক্ষমতার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য
ভুলে গেছে কি সেই প্রাণের পতকা?
বসুরা
সময়ের আবর্তে বিবর্তনে নষ্ট জলে ভাসাইনি গা
ধ্বুকে- ধ্বুকে প্রাণে,টেনে টুনে নেয় শ্বাস আর বাঁচে
ভাঙ্গা দেহ,পোড়া মনে যারা স্মৃতির জাবর কাটে
আপাত ব্যার্থতার দায় নিয়েবেকার, রকে বসে ভাবে, আড্ডা দেয়
পারেনি তারা, মিছিলের অগ্রভাগে যারা ছিলো
পারবেনা পারবেনা ভুলতে তোমায় শহীদ সখা
বসু তবুও
“তোমাকে মনে পড়ে যায়
তোমাকে মনে পড়ে যায়”।