• Uncategorized
  • 0

বিশ্ব কবিতা দিবসে কুমারেশ তেওয়ারী

কবিতা লেখার আগে

কবিতা লেখার আগে শুদ্ধচিত্তে আচমন করি। কবিতা তো পরী শরীরের হয়। আত্মার ভেতরে তার পরাগের ঢেউকথা চুপ ঘুমে থাকে। স্পর্শ পেলে ডানা ঝেড়ে বের হয়ে আসে।
জয়দেব কেন্দুলির মেলা গেলে কবিতার মুখ চাঁদ হয়ে ওঠে। প্রাণবীজ অঙ্কুরিত হয়। বাউলের আখড়ায় মিশে গিয়ে মাতাল ধনুক। এক একটি শব্দ নিক্ষিপ্ত হতেই আকাশ উজ্জ্বল, মাটি গর্ভবতী হয়।
আবার যখন মাংস দোকানে খদ্দেরের বেশে, কবিতার চোখে আতঙ্ক অসীম। অস্থিরতা দেখে মনে হয় মৃত্যুগর্ভে ঢলে পড়বে বুঝি কবিতা শরীর।
তড়িঘড়ি খালি থলি হাতে বের হয়ে আসি। কবিতার হাত ধরে চলে যায় মধু ছুতোরের বাড়ি। উলঙ্গ শিশুটি তার খেলা করে দেহাতি উঠোনে। দেখি, কবিতা তার শরীর থেকে ঋণভার তুলে নিয়ে মেখে নিচ্ছে নিজের শরীরে। খেলা জমে ওঠে। মৃদু হাসি ফুটে ওঠে মহাজগতের ঠোঁটে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।