সেদিন অফিস যাওয়ার পথে
বাস ছিল না বেশী,
যাও বা ছিল সেগুলি
ছিল ভিড়ে ঠাসাঠাসি।
পাদানীতে ছিল আমার পা
এই পড়ি কী সেই পড়ি,
একটি শক্ত হাত ধরলো আমার
কোমর,বয়স বাবার মতো,
নইলে সে যাত্রায় দিতাম স্বর্গে পাড়ি।
মফস্বলে বাস রোজ যাতায়াত করি,
ফেরার পথে ঝড় বাদলের দিনে
শেষ বাস গেল চলে, অনেক চেনাজানা
মেয়ে ,কাছেই যাদের বাড়ি পাশ কাটিয়ে
গেল চলে । অকুস্থলে একা মেয়ে আমি ,
অন্ধকার, ভয়ে ভয়ে মরি।
অল্প চেনা দাদা, ট্রেনে হকারি করে,
ইতস্তত করে একা আমায় দেখে,
পাশ কাটিয়ে যায় নি চলে,
নিশ্চিন্তে পৌঁছে দিল ঘরে।
হঠাৎ করে হলো মায়ের শরীর খারাপ
আতান্তরে পড়ে গেলামএকা আমি মেয়ে,
ক্লাব ঘরে বসে যে সব ছেলে,
পাড়ার লোকে দুষ্টু যাদের বলে,
নিয়ে গেল হাসপাতালে বিনা বাক্য ব্যয়ে।
মিনুর ছেলের সেবার অসুখ হলো ভারী,
রাত্রিতে খবর এলো রক্তের বড় দরকার,
পাড়ার ছেলেরা ই রক্ত দিল,
এক মুহুর্ত করেনি কেউ দেরি।
সব পুরুষ ই খারাপ যারা বলে
আমি নেই তাদের দলে,
আমার বাবা শ্রেষ্ঠ পুরুষ আমার চোখে,
সব পুরুষে ই লুকিয়ে আছে পিতৃত্ব,
দেখ না চোখে তে চোখ রেখে।।