“পুরুষ” নিয়ে বিশেষ সংখ্যায় জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
by
·
Published
· Updated
তোমার জন্য,বাবা
তোমার চেয়ারটা এখন বিরহ যাপনে ক্লান্ত
বসে কোনো সোপানের কোণে গোপনে।
ক্ষয়ে গ্যাছে বুক তার বয়েছে অনেক ভার
কথা আর স্মৃতিভারে ভারী।
ঘর বদলে যায় দরজা বদলে যায় তবু
নতুন বারান্দায় মাটি মাখা ছবিটি চেয়ে থাকে।
তুমি আজ নেই তবু আছো ফ্রেমে বাঁধা দেয়ালে।
চোখ তবু ডাকে অবিরাম ভুল সিগন্যাল
সেই আলমারির পাশের চেয়ার বিকল্পহীন তুমি
অর্থাৎ একঘর মানুষ…..সব ঠিক আগের মতন।
তোমাকে হঠাৎ হারাই ফিরে চাই সবদিকে
নিরুপায় অবিশ্বাস জড়ায় বিষাদ তুমি নেই
জালগুলি ছিঁড়ে যায়…… অচঞ্চল ছবি।
এক একটা দিনে,বাবা
তোমার চেয়ারটা বসে আছে সিঁড়ির এক কোণে একাকী ক্লান্ত
ক্ষয়ে গ্যাছে বুক তার বহুদিন ভার বয়ে ঘর্ষণে ঘর্ষণে শ্রান্ত।
অনেক স্মৃতি তার দেহ জুড়ে চাতাল পায়ায় পিছনে হাতলে
দৃশ্য যায় না ভোলা জেগে থাকে কথা,ঘটনা বা ছবির আদলে।
বারান্দা হারিয়ে গেছে কিছুদিন তবু যেন সাজানো রয়েছে ঠিক ঠিক
নতুন বাড়ির মাঝে জেগে ওঠে সেদিনের ভালো লাগা মায়া ঝিকমিক।
ভালোবাসা উৎকণ্ঠা খুশি দুঃখ অনুরাগ বা রাগের প্রভায়
নিজস্ব ঘরানা নিয়ে ছিলে অবিচল সংসারে সমাজে বা আপন সভায়।
আজ তুমি কতদূরে কোন আড়ালে খুঁজে ফিরি কোন আলেয়ায়
জেগে আছো সাগরে পাহাড়ে ফুলে আকাশে কী দূরের তারায়।
খুঁজে ফিরি চারিদিকে চেয়ে দেখি সামনে পেছনে বা এদিক সেদিক
আনমনে গাছ দ্যাখো?পাখি?সুর ভাঁজো? নয়তো হারিয়ে গ্যাছে দিক!