• Uncategorized
  • 0

নিবন্ধে প্রিয়াঙ্কা পিহু কর্মকার

একাত্মিকত

সময়ের মোটরে বসে আজ আমরা কত দূর চলে এসেছি । এখন সব কিছুই কত সহজ , পাওয়া টাও আর চাওয়া টাও । মানুষের মধ্যে আমরা দুটি লিঙ্গ বিভাজন করে থাকি । এক পুরুষ আর এক নারী । এই পুরুষ ও নারীর মধ্যেই আছেসৃষ্টির সার্থকতা , নূতনের আহ্বান ।
বলা হয় , নারী পুরুষ একে অপরের পরিপূরক । যখন কোনো নারী কোনো পুরুষকে ভালো বাসে । তাদের মধ্যের যে সম্পর্ক যৌনতা ।
হ্যাঁ , সব সম্পর্কের অন্তিম পরিনতি বা পরিনতির অন্তিমতা ।
একটা নারী যখন একটা পুরুষকে স্পর্শ করে , চুম্বন করে । তখন সে তার সব বিশ্বাস সব ভরসা সব “আমি” টাকে সমর্পণ করে সেই পুরুষেরর কাছে । সমর্পণ করে তার লজ্জা , তার রাগ , তার ছেলেমানুষী , তার নারীত্বের অহংকার কে । ঠিক সে ভাবেই এক পুরুষ যখন কোনো নারীকে স্পর্শ করে । আলিঙ্গন করে তার জড়তা কাটানো বৈভব কে আলিঙ্গন করে তার পৌরষত্বের বিকাশ কে ।
এই আলিঙ্গন এই চুম্বন এই সম্ভোগময়তা এক নারী আর পুরুষকে একাত্ম করে ।পরিণত করে একশ্বরবাদে ।
সমাজের গরলতায় জীবনের অশেষ মাদকতার মূহুর্ত নিঃশেষিত হয়ে যায় ।
তবুও ,,,,
আধুনিক সমাজ হয়তো দৃষ্টিভঙ্গির বিরূপতায় এই একাত্মিকতা এই একশ্বরবাদিকতা কে তীব্র প্রহসনে নিমোজ্জিত করে নালার কীটের মত আচারণ করে । সেই সম্পর্কে হাস্যরসের বিভাগের বিখ্যাত রম্যরসের মাদকতায় ডুবিয়ে দেবে ।
কিন্তু , এই সমাজ সেই একাত্মিক হৃদয়ের সন্ধান করবে না ।, সন্ধান করবে না সেই তৃপ্ততার , সন্ধান করবেনা সেই বর্ষণের যা দুটো মাংস হাড়ের কাঠামো কে সৃষ্টির চৌকাঠে পূজিত করেছে করবেনা কেউ ।
যেটা করবে সেটা হল নিন্দা , ঘৃনা , কুৎসা ।
কিন্তু এই নিন্দা – ঘৃণা – কুৎসার মধ্যে দিয়ের সৃষ্টির পথ কন্টকময় ময় হয় নিন্দুক ময় হয় । তার সাথে আরো অধিক হয় পরীক্ষিত ও গুণগত ।
একটা শরীর কে কটা হাড় আর মাংসের অবয়ব না ভেবে আগামী হয়তো ভাববে একটা সৃষ্টির কাঠামো ।
আর এই আলিঙ্গন- চুম্বন- সম্ভোগ হল
সেই সৃষ্টির মৃত্তিকার মৃন্ময়ী রূপ….
এই রূপায়ণই হোক আগামীর একাত্মিক মিলনের কাঙ্খিত রূপ ।
আর এই রূপের রূপকার হলাম আমরা ও আমাদের হৃদয় নিবেদিত দেহ.আমাদের ভালোবাসা ।…।
শেক্সপীয়ার বলেছেন-
“Truth is stranger than Fiction …।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।