“নারী-দি-বস” উদযাপনে বহতা অংশুমালী
by
·
Published
· Updated
ফাইব্রোঅ্যাডিনোমা
স্তনপরীক্ষা করতে যেতেও সে
ঠোঁটপালিশ লাগালো
ভাবটা এমন,
কর্কটরোগ যদি শুনতেই হয়
শুনবে লাস্যময় বিভঙ্গে তাও!
ভঙ্গীটা সুন্দরই হয়
কনুই এগিয়ে দিয়ে হাতের চেটোয় মাথা রেখে
হাঁটুকে একটু মুড়ে
জঙ্ঘাকে একপাশ ক‘রে
তেরছা তাকানো
কোনারক খাজুরাহো হার মেনে যায়
পর্দায় ডুবডুব শব্দ হয়,
যেন এক উপত্যকা লাভাময়
আলট্রাসোনোগ্র্যাফি
ভয়ে ভয়ে অগ্ন্যুৎপাত
বাঁচিয়ে ফিরেছে
যদি কেউ জিজ্ঞেস করে তাকে সমস্ত জীবন
কিভাবে পেরোলো?
ওরকমই রহস্যময় শব্দ হবে
ডুপডুপ ডাপডাপ ব্যুগল ব্যুগল
কিছু উষ্ণ বসন্ত
শীত ঘেঁষে অকস্মাৎ চলা কিছু সিলিং ফ্যানের
অস্পষ্ট স্মৃতি
তেমন বিশেষ কিছু মনে পড়বে না
প্রেমিকদলের মুখ মাঝে মাঝে জেগে থেকে শুধু
উপুড় করানো বালুঘড়ি
ক্ষতিহীন বিনাইন ফাইব্রোঅ্যাডিনোমার মতন
অরক্ষণীয়া
কদন্ন যে গলা দিয়ে নামে না মশয়
কতবার বলে গেছি আনিও না গম দানা পানি
খুঁটে খেতে দাও খেটে সমস্ত সকাল
আসিও বিশ্রামে সাথে দেখিও আকাশ
শুনিও বিচিত্র শব্দ জীবনের চিতে বা উপুড়ে
খুঁজিও হারানো ঘ্রাণ ফুলেদের, তেলেদের, ফুলেল সে তেলেদের চুলে
হাসিও তুমুলে উঠে ছোটাছুটি নানান খেলায়
বাসিলে বাসিও ভালো, বড় ভালো, ফুটিফাটা ত্বক
মাজিব উঠিব জ্বলে ভিতরের সেই বিচ্ছুরণে
যার নাম হয়তো বা প্রেম
যার নাম রয়ে যায় ফর্মালিনে অযথা ডুবালে
নইলে নরম হয়ে মেশে সে মাটিতে
কান চাপি হাত ছুঁড়ি মুখ ঢাকি রক্ষা চাই না আর
এ জীবন রূপাহারী, অগ্রদানী ব্রাহ্মণ তো নয়
কদন্ন যে গলা দিয়ে নামে না মশয়