জীবন এই মেঘনামাদের নাম পেরিয়ে এক অলীক অলিম্পিয়াড, মেঠো পথে ইঁদুর ধরার চেষ্টা। এখানের স্বপ্ন ভাব আল বেয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে শিশুর আস্কারায়। সু-অখ্যাতি সংখ্যায় সংগ্রহের গণনাঙ্ক ছিনিয়ে নিয়ে যায় বৈষম্য। উঁচু নীচু, পুরুষ মহিলা, এসবকিছুর ঊর্ধ্বে একটা প্রাণের প্রতি অন্য একটি প্রাণের প্রায়শই যে যোগ কয়লা হতে সৃষ্টি হয়,তার মেঘের কাছে এসে বহু বাধ্য পরাজিত হয়েছে। কবেও প্রেম কবেও ঘৃণা অবাধ্যদেরই জয়ী করেছে বারংবার। এই লঙ্ঘনের ইতিহাসে জীবনের মূল্য অনেকটা বেশি।
ব্যক্তিগত পরিসরে আমি নীহার এবং আমার এই লৌকিক জীবন থেকে আমি মুখ ফিরিয়ে নিতে পারিনি কবেও। জৈবিক জীবনের জন্য অতিজৈবিক আশা আকাঙ্খা চাহিদা সবই সৃজন করেছে আমাকে। তাই নিজেকে সৃজনশীল বলতে কুন্ঠা বোধ হয়।
অবাধ্যতা, এই চরম প্রাপ্তি আমাকে ঈশ্বরে বিশ্বাসী করেছে। হার না মানাদের হারিয়ে যে চরম প্রাপ্তি তার আনন্দ কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে বোঝানো সম্ভব নয়। বিশ্বাস করুন বা না করুন অবাধ্যদের চেয়ে বেশি বাধ্য দেখিনি আমি কবেও।
এই হিসাবের চৌহদ্দি পেরিয়ে সকলের একবার জীবনকে ধন্য করা উচিৎ, যেখানে নারী একটি কামব্যাকের নাম। ভোগ তো সকলেই করে, সকলেই জানে। আমিও করেছি। বলতে আপত্তি নেই, আমি সাংসারিক জীবনে আবদ্ধ ঘেরাটোপে বাঁধা শৃঙ্খলা মেনেচলা নারীদের চেয়ে বেশ্যাদের বেশি সম্মান করি। সংসার ব্যতিরেকে এরা অন্তত এই পৃথিবী নামক বৃহৎ সংসারে নিজেদের কিছু চিহ্ন ছেড়ে যায়।
জীবনের জন্য আমরা কিছুই করি না বিশেষ যতটা জীবন আমাদের জন্য করে। আমি নিজেকে দুশ্চরিত্র বলে বেশি আনন্দ পাই চরিত্রবান্দের থেকে। এটা ভেবে যে এই সো কল্ড চরিত্রবানদের দলে আমি অন্তত নিজের আলাদা একটা আইডেন্টিটি তৈরি করতে পারি।
এসবের পরেও আমার কাছে ভালবাসার বিশেষ মূল্য নেই,যতটা সংবেদনশীলতার আছে। আহারে নীহার যতটা পুড়তে প্রস্তুত ভোগে ততটা নয়। পাঁচতারার ডিস্কোর চেয়ে একটা দেশি বারান্দায় আমি একটা নগ্ন নারীর শরীরে হাত বুলিয়ে দিতে বেশি পছন্দ করি।
এই লোলুপ লোভের চোখে চশমা না পরে নিজেকেও ওদের সাথে নগ্ন করতে হয়। এই অবাধ্যতাই আমার অহংকার।