দিব্বি কাব্যিতে মলয় গোস্বামী

রাই, আজ লড়াই করি, এসো কুঞ্জবনে
যে মার খেয়েছি সব—- রাখি মনে মনে ।
কুঞ্জবন গুঞ্জে ভরা বিদেশী গুঞ্জন
উহাকে উড়িয়ে আনো সুচেনা অঞ্জন ।
রাই, একটু ব’সে থাকো গাছের শিকড়ে
আমি একটু ভেবে দেখি তোমাকে কী ক’রে
কাঁদিয়ে চলেছে সব পোকা ও মাকড় !
রাই, কুন্দ ফেলে দিয়ে বিষে হাত মাখো ।
রাই দ্রুত গাছে ওঠো ; মনে হচ্ছে বাঘ
ঢুকেছে ! বাতাসে পাচ্ছি শ্বদন্তের দাগ I
হ্যাঁ, তুমি বিশ্বাস করো কুঞ্জবন মাঝে
বাঘের থাবার ধ্বনি অহেতুক বাজে ৷
এই দ্যাখো . ভুল বললাম . . কোনো কিছু আজ
অহেতুক মোটেও নয় .. কারণের কাজ
নির্মাণ হয়েই যাচ্ছে গোপনে গোপনে—
কী কষ্ট বুঝি আজ এই কুঞ্জবনে।
রাই দ্যাখো, ও- রাখাল পিঞ্ছখানি শিরে
ঘুরছিল এতক্ষণ .. নামাচ্ছে ধীরে ৷
থুম মেরে চারিদিকে ধবলীর দল
উপলের মতো স্থির দু চোখের জল !
রাখালের হাতে ধরা—মৃত বাঁশিখানি
ভুলেই গিয়েছে করত সুর আমদানি !
হঠাৎ চকিতে সে ঘুরেছে পেছনে
বাঁশিখানা যেন লাঠি … এই কুঞ্জবনে ৷
রাই আজ লড়াই করি কুঞ্জবনে আজ
পুঞ্জপুঞ্জ খাওয়া – মার .. নিঃশব্দ আওয়াজ
প্রবেশ করাবো ওই বাঁশির ভেতরে ;
আমি আছি .. বাঁশি আছে, মারবে কে তোরে ?
রাই আজ লড়াই করি, এসো কুঞ্জবনে
যে মার খেয়েছি সব – – রাখিয়ো যতনে ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।