ক থেকে হ বর্ণমালার দীর্ঘ মৌন মিছিল।
কোনো আলফাবেটই আজ কবিতার জন্য
নিবেদিত নয়।
হারিয়ে যাওয়া শব্দ খুঁজি তোমার ধুকপুক
বুকের ভাঁজে।
একটা নদী চোখের আলোয় যেমন
পায়ে ঘুঙুর পরা মেয়ে।
বুকের ভেতর ধ্বনি গন্ধময় ঝুমঝুমি বাজায়…
২.
দহনে লীন তাপ
আগুনেরফুল সন্ধ্যা মালতী
তোমার সঙ্গে আলাপ করবো
ভাবি। ব্যস ঐ অবধি !
দৌড় শুরু হয় না কোনোদিন
আকাঙ্ক্ষার আকাশের কোনে
রাতভর সন্ধ্যা তারা সুখতারা হয়ে
নীরবে নীল আলো জ্বালে।
দহন ছড়ায় শরীরের প্রতিটি
শিরায়, ধমনিতে……
৩.
এই সেই নিঝুম তলা
আমার আমিকে খুঁজে চলেছি
বিশ্রাম ঘরে অবিশ্রান্ত বৃষ্টির ছাঁট।
ভিজে নেয়ে একাকার।
মৃত প্রেমিকার সাথে দেখা।
অভিমান দাউ দাউ জ্বলছে
সেই আগুনে এত শুদ্ধ অবগাহন!
অনুতাপ তার ই নাম।
একই ভুল বারবার তাই মানুষ
কখনো পতঙ্গের মত পোড়ে।…
৪.
তোর অনুষঙ্গ বারবার
চায়ের কাপে চুমুকের দাগ
কার্পেটে
পায়ের
চাপ।
সুগন্ধি রুমালের অভিমান।
রাত বিছানার চাদরের উপর উন্মাদ
শীৎকার।
যাবার বেলা মনে মনে টুকে রাখা অক্ষরের
মায়া। তুমি আমি সম্পর্কের বেলিফুলের
গন্ধ এইসব।
কিছু ব্যথার রূপালী ঝালর
কিছু অন্যমষ্কতার উষ্ণ নিঃশ্বাস।
ক্ষণিকের মৃত্যু
অতিথি অভিমান
কুড়িয়ে পাওয়া পোশাকের উথলে ওঠা
সুখের বোনিয়াদ;
স্মৃতির দেরাজ থেকে বারবার জেগে উঠে
স্বপ্নের নিজস্ব অর্জনে।…
৫.
ঘরভর্তি শূন্যতার ভিতর ছোট্ট একটি
ইচ্ছে আঁকলাম
স্বপ্নের ভেতর একটা দৌড় , রোদ্দুরের আবাদ ভেঙে, অন্ধকারের আবাদ ভেঙে
একটা দৌড়
আর–
আকাশে ওঠার জন্য একটা সিঁড়ি
একটার পর একটা পা ফেলে ।
হাতের মুঠোয় আকাশ !
নীল শান্ত উদাস রঙিন অন্তহীন ধূসর।
নিচে সবকিছু
অদৃশ্য, সহসা বিলীন….
ইচ্ছে নাকি সমর্পণ শূন্যতার কাছে!