বিকেলের হাওয়া আমায় বড় টানে! এ যাত্রায় আর তার সাথী হওয়া হল না। রংমিলান্তি খেলা বাকিই রয়ে গেল বুঝি এ জীবনে! সেই ফাগুন মাসে চোরের মত অতিথি কৃষ্ণচূড়ার রঙ গায়ে মেখেছি আশ্লেষে। গন্ধরাজ আর মোহনবাঁশীর সুরছন্দে নিবিড় কামিনী সুখ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছি শ্রাবণে, তখন তোমার কদমতলায় বকুল কথা বলে। একটিবার হেমন্তের অলি সকালে শবনমের স্পর্শ সাজিয়ে দিয়ে “আমলকী বন কাঁপে”। তারপর বড় তাড়াতাড়ি শীত এসে পড়ে আজকাল।
(২)
পৃথিবীর বুকে ঠিক যেন একটা বিকেলের গল্প পিঁপড়ের মতো ভালোবাসা জমিয়ে রাখে। বসন্ত স্টেশন পেরিয়ে চলে যায় কখন কে জানে! বিকেলের হাত ধরে ছোটে সমান্তরাল রেললাইন। লাস্ট কামরার গল্পেরা সেখানে কাটাকুটি খেলে।
উড়ন্ত পাখির মত বন্য আদিখ্যেতা লক্ষ্যভেদ করে পাড়ি দেয় অজানায়। বেদবাক্য শুনে তারপর অবোধ শিশুর মতো তুমিও একদিন…
উত্তাল ঢেউ আর ফসফরাসের খেলায় পেরিয়ে আসা কত পথ ধরে ছুটিও তার অতীত স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে থাকে।