জন্ম ১৯৬৭ সালের ২ জানুয়ারি হুগলী জেলার ধনিয়াখালি গ্রামে। লেখালিখির শুরু খুব ছোটবেলা থেকেই। ছাপার অক্ষরে স্কুল ম্যাগাজিনে চিরাচরিত নিয়ম ভেঙেই প্রথম প্রকাশিত হয় "কেয়া" নামের একটি প্রেমের কবিতা। সাহিত্য নিয়েই পড়াশোনা। পেশায় গৃহশিক্ষক হলেও সাহিত্যই চব্বিশ ঘণ্টার ধ্যানজ্ঞান। মাসিক কৃত্তিবাস, একুশ শতক, ভাষাবন্ধন, প্রমা, কথাসাহিত্য প্রভৃতি পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তুমি অনন্ত জলধি (কবিতা), বিমূর্ততার অনন্ত প্রবাহে (কবিতা সংক্রান্ত গদ্য)। সম্পাদিত পত্রিকা : ছায়াবৃত্ত এবং কাটুম কুটুম।
অনাবৃষ্টি
মনে হয় আমাদের সব দেখা সম্পূর্ণ। ডিপো থেকে বেরিয়ে বাস যেন গতি নিয়ে নিয়েছে। কোনোভাবেই যেন আর তাকে থামানো যাবে না। চমক পেরিয়ে চলে এসেছে অনেক দূর। তাই আর হারাবার ভয় নেই কোনো। যা দেখছি তা যে দেখার জন্যে দিন রাত এক করে ফেলেছি এমন নয়। তবুও যদি চোখের সামনে উঠে এসেছে তাহলে চোখে চোখ রেখেছি । চোখে মন ছিল না বলেই যা পেরিয়ে এসেছে চোখ তাকে আবার দেখার জন্যে বুকের ভেতরে বৃষ্টি নামেনি কখনও। আমাদের ভেতরে আজও কোনো গল্প নেই। গল্পের আবহাওয়ায় দুদণ্ড দাঁড়াবার ইচ্ছা জাগলে তা পায়ের মাটি পায় নি কখনও। তাই জল নেই চোখে। বছরের পর বছর এই অনাবৃষ্টিতে ঘুমিয়ে গেছে বীজ।