আমি যেন গাণ্ডীব ধনু থেকে প্রক্ষিপ্ত শর
আমার এক খন্ড নেই অবসর
শ্যেনচক্ষু নিয়ে কেবল ছোটা কোন রত্ন খোঁজে।
বুঝতে পারি না সহজে
কোন পাথরফলকে লেখা হলে নাম
পাবো ক্ষণিকের বিশ্রাম।
কোন মৃত্যু পাশা জিতে নিতে, অতর্কিতে
কোন পুষ্প বৃন্ত থেকে ছিন্ন করে নিতে
নিয়ত প্রয়াস করি।
অনর্গল ঘুরে মরি
কোন অমৃতকুম্ভের সন্ধানে।
বসন্তের মলয় সমীরও বয়ে আনে
জয় গন্ধবহা ভোর –
ছিন্ন করে ঘুমঘোর
ভিন্ন করে বাহুডোর
ছুটে যেতে চাই সুউচ্চ শিখরে
যেখানে জ্বলজ্বল করবে সোনার আখরে
আমার কীর্তি জয়গাথা।
তবু এক বিমর্ষ ব্যথা
কুড়ে কুড়ে খায়..
এক অধমর্ণ আমারই প্রচ্ছায়া
ক্রমাগত পিছু ডাকে, এমনি বেহায়া।
ডেকে বলে এইখানে আছে শান্ত সুনিবিড় বনচ্ছায়া
এইখানে কীর্তিহীন যশহীন বসে থাকা যায়
থুপ্ থুপ্ শিউলি ঝরে পরে এইখানে শিশিরের গায়
এইখানে মাটি ঢাকা আমারই না-লেখা কবিতায়।