সিঁড়ি দিয়ে নেমে এল অনন্ত বিকেল
কেউ তাকে বলে খেলাচ্ছল
কেউ ডানার দুপাশে রাখে গোধূলিক্ষতগুলি
বিকেলের কথকতা থাক
চেয়ারের অন্ধকারে কেউ কেউ আঁতুড়ের স্বপ্ন খুঁজে ফেরে
পিতৃত্বের প্রশ্নে এসে বিকেলের চিল, শূন্যতার চারপাশে ডানা ছুঁড়ে দিল
তবু বিকেলের ভাঙারোদে রৈখিক খেলাচ্ছলগুলি ক্রমশ ভূতের মতো ওড়ে
যেভাবে বাতাস যায়, প্রান্তরের অন্ধকারে চাঁদ ঝরে পড়ে
একটি স্মৃতির জন্ম
শীতের প্রায়ান্ধকার সে দেবতা বসে নেই
এখনো মাঠে যাওয়ার, দিনান্তের কাছে যাওয়ার পর্যাপ্ত সময় রয়েছে
এভাবে একটি স্মৃতির জন্ম, মেঘের অজান্তে, মেঘ হয়ে ছিল
দেবতাকে নিচু স্বরে বলা কথাগুলির মতো শান্ত মনে হয়
দেশে, শীতের অবসরে, পৌষালি নক্ষত্রের কথা আগে উঠে আসে
অশ্রু বলে ডাকা হোক তবে
বাগানের পাশে, জানলার পাশে তার ছায়া দেখা গিয়েছিল
যদি সে কখনও আসে, অশ্রুর নৈঃশব্দ্য চেনা হয়ে যাবে
আতিথেয়তার বর্ণগুলি একা হয়ে, এক হয়ে থেকে যায় তার জানলায়
চাতুর্যের অবকাশ নেই, ক্ষমার আশংকা রয়েছে
গা খুলে গতর দেখে নেওয়ার মতো মার্জনা তবুও রয়েছে—
শীত হোক, সন্ধে হোক, বন্ধজানলার ব্যবহারও শিখে নিতে হবে আমাদের