কবিতায় সৌমিত্র চক্রবর্তী

জিঙ্গল বেল

মাঝে আর মাত্র এইটুকু রাত,
তারপরেই আকাশ জুড়ে
আলোর গাছ
তারপরেই জিঙ্গল বেলের
ঝর্ণা ছড়িয়ে যাবে নোংরা
আস্তাকুড়ের ড্রেস পরানো
রাস্তা ঝকঝকে ডিস্কোথেকে;
মাঝে মাত্র কয়েকটাই ঘন্টা
আর মিনিটের জলবৎ তফাৎ।
রাত্রি এলেই কয়েক টুকরো
ছেঁড়া ছবি রাতচরা পাখি হয়
ওড়ে…ওড়ে…উড়তে উড়তেই
জড়িয়ে ধরে মস্তিষ্কের
রিয়্যালিটি শো এর মজাদার
চকমকি সূত্রগুলো,
রাত্রি এলেই দিল্লী, কলকাতা,
উত্তরপ্রদেশ একসাথে জলদস্যু
কায়দায় বুকের ওপরে এক
পা তুলে একচোখে
জিজ্ঞেস করে, ‘বোল পাখন্ডী
মাচিস হ্যায় তোহার পাস!’
হিমালয়ের ভঙ্গুর বরফ ছুঁয়েই
গোল্লাছুট খেলতে ছুটে আসে
যে উত্তুরে কনকনে শীতহাওয়া
উড়তে থাকে তার ঘূর্ণিতে
ছিন্নভিন্ন যোনি, স্টোনচিপস
অন্ত্রের কুটি কাটা আর বিশাল
কর্কশ ধারালো এক লৌহদন্ড।
আর কয়েকটাই তো ঘন্টা,
মিনিট আর সেকেন্ড কয়েকটা;
তারপরেই মেরি ক্রিসমাস,
হ্যাপ্পি হ্যাপ্পি ভেরী হ্যাপ্পি
নিউ ইয়ারের দাদাগিরি
ঝাঁঝমঝম পিকনিকের
তুমুল দামাল দমক,
ভোদকা আর হুইস্কির
তূলনামূলক সাহিত্যের তুলকালাম;
উৎসব ক্লান্ত হলে
মাঝরাত বৃদ্ধা হলে
রুক্ষ মালভূমির বোকাসোকা
আগাছার ঝুন্ড শুধু
ফাঁকা একটুকরো হাওয়ার
দিকে অনর্থক তাকিয়ে
নিঃশ্বাসে ফিসফিস –
‘মিস ইউ ভার্জিন ইন্ডিয়া!’
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।