• Uncategorized
  • 0

কবিতায় সৌমিত্র চক্রবর্তী

ককটেল কথা

(ক কথা)

দু আঙুলে খাঁটি বাসমতীর ফুরফুরে জুঁই ফুল
আলতো মাখতে মাখতে সামান্য ফাঁক করা ঠোঁটের
ভেতরে দশ কিম্বা পনেরো পার্সেন্ট উপোসী দাঁতের সারিতে
ডেলিভারীর অস্সম সময়ে ন্যাংটা তোর্সার দু জঙ্ঘার মাঝে
আরব আমিরশাহীর হাইরাইজ বাগান জন্ম নিতে থাকে;
উষ্ণতার যে সীমায় পারদ বাস্প হয়ে মিশে যায় চতুর্ভুতে
এক চুমুক চায়ের কয়েকশো গুন চুমুর উত্তাপে মাউন্ট আবুর
মাথায় ঘন জঙ্গলমহলে আগুন ধরে যায়, দাবানল একে একে
গিলে খায় ফেলে রাখা অতীতের ইচ্ছেপূরণের গল্প।

(খ কথা)

টেলি পর্দার বীভৎস মিথ্যে চোখ আর কানের ভেতরে বাজ
ফেলে সাম্প্রতিক বিচারবুদ্ধির চোদ্দ পুরুষের নারী পুরুষ নির্বিশেষে
গণধর্ষণ শুরু করলে নদীর বুকে উথাল পাতাল, সামনে খোলা শিশুপাঠ্য
মাথায় কনডেমড সেলে নিউরনের ঠিক তক্ষুনি মেডিটেশন মোড,
ডাকতে ডাকতে গলা চিরে গেলে বস্তির কাছাকাছি বারো ঘর
এক উঠানে ভয়ঙ্কর খিস্তির কালবৈশাখী অন্যদিকে চিলেকোঠায়
একান্ত অন্ধকারে সদ্য ষোলোর ড্রপসিন খোলা বুকের গহণ অবগাহনে
পেটকাটি চাঁদিয়াল হুররর্ ভোকাট্টা; মাঝি নোঙর তোল্… দু আনার শরিক
গড়িয়ে নামছেন ঝাঁ চকচকে অস্টিনের অহঙ্কারী পাদানি বেয়ে পানরঙা সহেলীর খোঁজে।

(গ ঘ ঙ কথা)

পুলিশের মারের শেষ চিহ্ন কখনো সখনো এক দুই তিন বছর জ্বালায়
শুদ্ধ ভরদ্বাজ স্নান সেরে এলে পাতা আসন খাগড়াই কাঁসা আর ঘোমটায়
খাওনপর্বের পরে সোনমুগলি শিকারের আমন্ত্রণ খেলা করে নথে, রেসকোর্সে
জ্যাকপট ঘোড়া সবে দৌড় শুরু করে সবুজ ঘাসের সাইডলাইন সাক্ষী রেখে
হোওওও…চিৎকৃত শব্দবাজী উঠে যায় ওজোন স্তর ভেদ করে মহাশূন্যের নরম
ত্বকের আনাচে কানাচে; দিন দুই কথা বন্ধ থাকার পরে স্টিলকাঠামোর চল্লিশ
তলা অ্যাপার্টমেন্টের আশি নাম্বার ফ্ল্যাটে টম অ্যান্ড জেরি মুখ, কালাশনিকভ মুখ,
বেহতর্ কামুক ভাদুরে কুত্তার মুখ মিলেমিশে ককটেল, বন্ধ দরজার বিশাল আঙ্কিক
ইয়েল লকে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে প্রথম বৈশাখের শিৎকার অশক্ত পিচ্ছিল।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।