এই ক্ষত অগ্নিবন লালসার, এই স্মৃতি গোপন আঙুর- বেদনার, এই
মোহ মেঘ ও বিদ্যুৎ, তৃপ্ত হয়নি
শরীর-রক লঙ্ক-রেখা, প্রকোষ্ঠের ভিতরে লুক্কায়িত শুভ্র ময়ূর, সে কেবল
চোখের মনি খাবে, সর্বনাশ বসে পড়েছে
ঘরের দেওয়াল ধরে, যৌবন ও যৌবনরে, তুই-ই আমার একমাত্র সখা
এবারের মতো সব ঠিক করে দে, ভালো হয়ে জঙ্গলে
চলে যাবো কেবল দুজনায়, সেখানে
প্রচুর মাংস খাবো, হিংস্র প্রেমেরা যে কোনো সময়ই ঝাঁপিয়ে
পড়তে পারে, প্রীতি ও সৌজন্যগুলির আড়াল থেকে
ব্যর্থতা এসেছিলো দ্বারে, অনিদ্রার
পথে কিছু শিহরন, কিছুটা কষ্টের ছায়া, দুরাশার পাপ
এসেছে, মনে উঁকি দিতো শুধু অদ্ভুত কিছু
রেখা, ফুলের পাপড়ি, ব্যাস
তুমি আমাকে থামতে বললে, বন আলো করে তোমার মহিষী
হলো, রাজধীরাজ, ধন্য
হয়ে আমি এখন ছবি আঁকছি তোমার, অন্তরীক্ষে
বলতো ক’ মাত্রা হবে এখানে?
শ্রীফল ও মৃত্যুর গ্রহ
অলকানন্দা-কে যখন বিস্বাদ লাগে, কালো-পতাকা ও কুয়াশা এসে পড়ে, চক্রবর্তী
ফুলের কটু- গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে, বিষাদ, আমাকে কি
একটুও মনে পড়ে? বুকের রোমের নিচে জগতবন্ধু হাইস্কুলের ইতিহাস
রয়ে গেছে, ইংলিশ, বাংলা মোদের গরব
ভাষা, মাইল মাইল জুরে সন, তারিখের ভিতর নিঃশব্দ শিকড়
মন খুঁজে বেড়ায়, রঙ, গন্ধ, মধু ও চৈতন্যের পুসন
সৌন্দর্যে আন্দোলিত ঈর্ষা
মেঘ, শোষন ও কামপোকা, উড-পেন্সিল আসলে
মায়া জানে শ্রীফল, পূর্বজন্মের
পথে শুদ্ধ প্রনয়, দু’পাশে অতলান্ত সবুজ তৃনভূমি, অকস্মাৎ, দুধ-গঙ্গার
জলে বিষধর স্তন, মার্জনা চায়, মৃত্যুর গ্রহ, সিঁড়ি
নেমে গেছে নিচে অক্ষরের পতিত গৃহে, পরিত্যক্ত স্বপ্ন-বাতায়ন
হঠাৎ হরিৎ আসবে পূর্ন পেয়ালা, মুগ্ধ
করো, রক্তে চিনি মিশে
থাকে কুটিল শ্রম, ঘি-রঙের কোমরে চাবি ঝুলছে
চার ঘোড়ার গাড়ি ছুটে যায়, বিকালে পার্কের মাঠে ক্রিকেট খেলতে এসে একটা, দু’টো করে রান নিই, পরাজয় হতাশা, অপমান আউট করবার চেষ্টা করছে, নানা কু-মন্তব্য করে, আমি কথাটিও কই না, শ্যাডো করি
করি, স্ট্যান্স বদলাই, খুঁটে খুঁটে রান কুড়িয়ে আনি, এখনই মাল আউট করে ফেললে খেলাটা নষ্ট হয়ে যাবে।