কবিতায় সুবল দত্ত

কেন যে কলসী ভরে দিলে তুমি চেয়ে দেখ কেউ বেঁচে নেই
ঘাসে আলজিভ মোহে পড়ে আছে তাই বুঝি জল প্রয়োজন!
কাহিনী এখানে শেষ হয়ে গেল থামো সীমানায় খর চপার
কুচিকুচি মেঘ ঘেয়ো রাজনীতি এখনো দলিলে মাটি মায়া?
নিজ কাঁথা ছেড়ে নদী ভুলে এলে জুয়াতে কামিনী কাঞ্চন
যে যাই বলুক পেটে ভয় পায়ে গ্রিজ তেল প্রাণ অসফল
বন্ধুর কাছে সুতো জমা আছে দিনগত পাপ বেড়ে চলা
কে দেয় ভিটেয় পুষ্পাঞ্জলি লুণ্ঠনচেতা সাঁঝ প্রদীপ
 মাড়িয়ে শরত্‍ ভিন্ন গালিচা কোথায় যে পেতে বসবে
জ্যোত্স্নাতে কেন মাখালে আতর আমিও ঈশ্বর ভুললাম
ইতিহাস বড় ফাঁপানো বেলুন উড়ছে কাগজ পুড়ছে
শ্মশানের কোনো ভবিষ্যতে তুমি আমি কেক কাটছি
আমার হয়েছে বড় জ্বালা বলো কাকে রেখে ভুলি নিজেকে
তুমি জানো কোন ছিদ্রে ঢালবে মহাজাগতিক মিথ্যা

 ২

বরফ সাদা এলুমিনিয়ামের উপর রূপোর কারুকাজ শীর্ষ
এই ধাতু শীর্ষ নিসর্গে যে জল ছিল সে কথা তো বলোনি?
ওয়াণ্ডারফুল! এক্সাইটিং!
আমি দৃশ্যটি অদৃশ্য নাট বল্টু দিয়ে অস্তিত্বে স্থির করলাম
তার উপর ছড়িয়ে দিলাম কিছু ফল ফুল পূজো উপচার
এবং শস্য বীজ,এর উপর হবে প্রভুর ভাব রমণ
যেখানে নিষিদ্ধ রমণ সেখানে সৃষ্টির বীজের রোপণ দরকার

বাসনকোসন সুগন্ধি ওয়াস দিয়ে ধুয়ে ফেলি
শস্যের গন্ধ আর একদম নেই
নেই কৃষকের আত্মদহের গল্প
গারবেজে আলুর খোসার উপরে সি সি টি ভি ফুটেজ মেমোরি!!
পুড়িয়ে ফেলতে যাই অবশিষ্ট অপরাধবোধ
ধ্যাত!! কবে হজম করে ফেলেছি
যা কেলো ! মাথায় করে বয়ে বেড়াতে হবে?
চারঘণ্টা হয়ে গেল দিগন্তের সূর্য এখন বিদেশ সাগরে
তাহলে সেই ছায়াগুলো?
সেই ধুলো আর আগুনের দেশপ্রেম ছায়া? কোথায়?
তাহলে কি চুমু?
সেই আগ্রাসী থুতু বিষ প্রেমিকার শরীরে? গর্ভে? 

ওই লোকগুলোকে দেখি বেশ
ওদের মায়ার সংসারে বড় ফুলের অভাব
কিছুই করেনা তবু সর্বাংগে ঈশ্বর মহিমা?
খেঁকি ঘেয়ো পরিপাটী চালাক ভদ্র মাটিতে পা
রোজ রাতে আমার বিছানার পাশে বিকট ভজন রমণ
আমার বউকে আর আমাকে না ছুয়েই
বেশ কবার ধর্ষনে রোজগার করে
আমার ভাই ওসব সয়ে গেছে
ওরা যা বলে আমি স্বীকার করে নিয়েছি
ওরা বলে বিন্দাস থাকো
অচিরেই তোমাদের সাহিত্যকর্ম রসাতলে যাবে
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।