কবিতায় ময়ূখ হালদার

বিমূর্ত

দিনরাত্রিগুলো উড়ে যাচ্ছে পাখির মতো
ধূসর জানলা দরজা কলার তুলে এগিয়ে আসছে কাছে
শীত মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছি
জনশূন্য নদী
এ পাড়ায় কোনও ডাক্তার থাকে না
সম্পর্কগুলো এক একটি  মৃত শালগাছ
আমি তাদের ওপর দিয়ে হেঁটে যাই
ছুঁতে চাই দুরন্ত নীল
মাঝখানে অন্তহীন রেলিং
পরস্পর হাত ধরাধরি করে বসে আছি
মৃত কথার স্তূপ পার হয়ে প্রজাপতি উড়ে যায়
আমরা দেখতে পাই না
এখন চব্বিশ ঘণ্টা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকি
আমাদের কোনও অবয়ব নেই

নদী 

দু:খ সেলাই করতে করতে একটা আস্ত বিষাদমালা গেঁথে ফেলেছি
ফুটপাথে মৃত প্রেমিকার সারি
বুঝতে পারি না কাকে বরণ করে নেবো
দূরে ঝাউবন অস্পষ্ট কুয়াশা
দিগভ্রষ্ট নাবিক
নোঙর করার মতো সুসজ্জিত বন্দরগুলো ঘুমিয়ে পড়েছে হাড়কাটা গলি
একবুক সূর্য নিয়ে মেঘ খুঁজতে বেরিয়েছি
জল দাও চণ্ডালিকা
আমি আনন্দ
কোনও ভয়ংকর স্বপ্নদৃশ্য
ঘুমের ভেতর এক যুগ ঘুম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
ট্রেন থেকে নামতেই ঝমঝম বৃষ্টি
আমার কোনও নদী নেই

পর্ণমোচী নদী

আমাদের গোয়ালঘরে বেঁধে রেখেছি নীল ঘোড়া
এক চিলতে ককপিট
জোয়ারের জলে নৌকা ভাসাইনি কোনওদিন
প্রাচীন পাথরের গায়ে তেল সিঁদুর
মহাশূন্যে চাঁদের দলিল
রাষ্ট্রের জানলা থেকে বেরিয়ে আসছে অসংখ্য কালো হাত
হাওয়ায় উড়ছে সুখপাখি
আঁজলা ভরে পান করছি পালক
পৃথিবীর কক্ষপথে কারা যেন ছড়িয়ে রেখেছে বস্তা বস্তা পেরেক
মেরুপথ বেয়ে নেমে আসছে রক্ত
ভিজে যাচ্ছে মোহনা
গাছগুলো দাঁড়িয়ে আছে এক হাঁটু বরফের ভিতর
পর্ণমোচী নদী
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।