কবিতায় প্রদীপ গুপ্ত
by
·
Published
· Updated
এরিনায় দাঁড়িয়ে লড়ছে
অঞ্জন আর মহসীন।
গ্যালারিতে বসে সে লড়াই দেখছে সেই তারা,
মানুষ নামের জীবগুলো
যাদের পশু বলে ডাকতো।
পয়ষট্টির অঞ্জনের সারা মুখ ছেয়ে আছে দাড়ি
চোয়ালে চোয়াল চেপে লড়ে যাচ্ছে।
ক্ষয়িষ্ণু দাঁতগুলোর ভেতর থেকে
কড়মড় কড়মড় করা একটা শব্দ।
দুটো পা দৃঢ় হয়ে বসে আছে মাটির বুকে,
মহসীন বয়েসে যুবক, কৃষ্ণবর্ণ,
উজ্জ্বল দুটো চোখে আগুনের স্ফুলিঙ্গ।
মজবুত পেশীতে প্রাণপণে আটকে রাখছে একটা
ক্রমশ ভেঙে পড়তে থাকা দেওয়াল।
ক্ষীণ কটির ওপরে মজবুত পাঁজরের ভেতর
বাসা বেঁধে আছে এক আশ্চর্য প্রাণশক্তি।
অঞ্জন আর মহসীন,
এতদিন লড়ে যাচ্ছিল পরস্পর,,
এখন দেওয়ালের ওপারের শত্রু এসে টান দিয়েছে
অঞ্জনের জপের মালা আর মহসীনের তসবিহ,
এরিনায় দেয়ালের এপাশে গোটা পৃথিবী
আর ওপারে এক সামান্য জীবানু।
আর গ্যালারিতে বসে থাকা পশুদের চোখ ভরা জল।
আসলে ওরাই জানে পৃথিবীতে কেউ একা বাঁচে না।
মানুষ নামক পশুটা নিশ্চিহ্ন হলে
পৃথিবী ভারসাম্য হারিয়ে ঝুঁকে পড়বে
ধ্বংসের দিকে।
ওরা চোখে জল নিয়েও সমানে হাততালি দিচ্ছে
আর চেচিয়ে যাচ্ছে সমানে
ফাইট অঞ্জন ফাইট – ফাইট মহসীন ফাইট।