কবিতায় নির্মাল্য বন্দ্যোপাধ্যায়
ফেরা
আমি আর পয়সা রাখি না বোকাভাঁড়ে।
লাট্টু কিনি, লেত্তি কিনি,
কিনি ট্যামটেমি।
কারেন্ট-নুন, মাছ-লজেন্স,
বঁড়শি-ছিপ,
কুলের আচার আর হাওয়াই-মিঠাই।
পিঁপড়ের ডিম আমাকে কিনতে হয় না।
একটা পুরনো ছেঁড়া ঘুড়ির বদলে
ঠোঙাভরে রাম নিয়ে আসে।
ভাঁড় ভেঙে গেলে পড়ে থাকে
যে-সব খোলামকুচি,
চেষ্টা করলে এক্কাদোক্কার ঘুঁটি করে পাওয়া যায় অবু-দের খুনসুটি
এবং পেয়ারা।
মাটির বেহালা কিনে
হঠাৎই বাজিয়ে ফেলি আকাশের সুর!
আর কিনি বেতাল-ডায়ানা
বাহাদুর, ম্যানড্রেক-লোথার।
লোভ হয় বেতালের সোনাদানা দেখে।
হিরো-র পিঠেতে চড়ে, ডেভিলকে নিয়ে
জানাডুতে ঢুকতে ইচ্ছে হয়।
ইচ্ছে হয়, লুসিফারকে প্রবল পেটাই
সোনা আর অবু-র সামনে।
আসলে ইচ্ছে কিনি, সহজ সরল।
ফেরবার ইচ্ছে কিনি,
ইচ্ছে করে ফিরে পেতে আত্মজার হাত।
বোকা আর কোনোদিনও
বোকাভাঁড়ে পয়সা রাখে না।
প্রসব
কেন তার দিনলিপি আনকোরা, জানো?
তার কাজ ছিল শুধু শ্মশান জাগানো!
অবাক ও মৃতদের বীর্য ও ডিম…
তার জিভে লোহা আর দাঁতে কাটা নিম।
হাট্টিমাটিম তারা, মাঠে-মাঠে বীজ
চোখে-চোখে খেলা করা মন, মনসিজ।
কোথায় খুঁজবে তাকে? মাঠে, নাকি মনে?
ব্যথা কিছু বুঝবে কি জনে, আনজনে?
হিরণ্যগর্ভের প্রবলপ্রসব…
শ্মশান জাগিছে মাতা।
মাটি ঘেঁষে জন্ম নিচ্ছে মানুষের শব!