ঠিক এই মুহূর্তে একটি সপ্তম স্বর্গ এসে ডেকে নিয়ে যাবে বলে
জেগে বসে আছি আর বুকের ভিতর জন্ম নিচ্ছে মণিকর্ণিকা
জলের সঙ্গে আর কিসের বিভেদ
আগুনের সাথেই বা এত দূরত্ব কেন
নিভে যাওয়া সূর্যের গায়ে একটি জ্বলন্ত শব্দ রাখতে পারি যদি
সেই পরম পাওয়ার কাছে নিজেকে বিলতে আর কতটুকু আয়ু খরচ হবে
আরও এক অঙ্গীকার দরজা খুলে বলবে
আয় আমাকে মৃত্যু দে, আমাকে
অথচ
আমি, ভেঙে পড়া ফুলদানির অসহায়তায় তাকিয়ে আছি ফুলগুলির দিকে
আর তারা স্বামীর মৃতদেহের উপর উপুর হয়ে আছড়ে দিচ্ছে নরম দুটি বাহু
২.
নাঃ এখানে সব ইন্দ্রজাল মৃত্যু একটা প্যাশন
তুমি ডুবে যাবে বলে আহ্লাদে আটখানা
আমি বার বার তোমার শরীরে তাকে খুঁজে পাই
অথচ গন্ধ আঙুলের মায়া রেখা
সমুদ্রের লোনা অমৃত যত ভাসায় তৃষ্ণা বাড়ে তত
অমিয় স্যরের বোঝানও শেষ হল এবার তিনি আমার দিকে ফিরে তাকাবেন
আমি, নবমীর রাত শেষে এগিয়ে যাব বিসর্জনে
তোমাকে চক্ষু দান করেছিল বৃদ্ধ ম্যাজিশিয়ান
আমাকেও দিয়েছিল স্বরলিপি
অথচ লিখতে পারিনা, তাই ঠোঁটে করে বুঝিয়েছি
একটি পাথর চাপা বুক আর বিষণ্ণ দুপুর অজন্ম চরিত্রহীন
৩.
টুসুর জন্য কষ্ট হয় যদিও টুসু বলে কেউ নেই
কারখানা আর কোয়াটারের মাঝে এক ব্ল্যাক হোল আছে
আমি পেরোই আমি একটি সূর্যমুখী ফুল রেখে আসি
প্রতি শিফটের শুরুতে তারপর খবরনি
কতটুকু রেখেছে সে সারাদিন বুকের ভিতর