ঠিক এই সময়ে তুমি বসে আছো
একটা অসমাপ্ত ছবির সামনে
ক্যানভাসের মাঝ বরাবর যে রাস্তাটা
পুবদিক থেকে এগিয়ে গেছে পশ্চিমে
সে রাস্তায় কার মুখ রাখা ঠিক হবে
ভাবছো আর তুলির সঙ্গে পরিচয় করাচ্ছো কোনো নতুন রঙের
ওই ক্যানভাসেরই এধারে ওধারে উড়ে বেড়াচ্ছিল
কয়েকটা প্রজাপতি
তারা মাঝে মধ্যে এসে বসছিল তোমার চুলে
সিঁথির মাঝখানে আর ঠোঁটে
শিহরণ উঠছিল তোমার পার্শোনাল ইমেলের ইনবক্সে
বাইরে অবশ্য ছিলে নির্বিকার
হঠাৎ নগর দায়রা আদালত থেকে
একটা সমন সেঁটে দিয়ে গেল তোমার দরজায়
আর তাই দেখে তোমার ক্যানভাস সক্রিয় হয়ে উঠলো
তোমার ইচ্ছা অনিচ্ছাকে বাদ দিয়েই
ক্যানভাসে ফুটে উঠলো পঁচিশ বছর আগে ছাপানো
তোমার হলুদ রঙের বিস্ময়
বাঁশি
একজন মানুষ ঘেন্না ছুড়ছে
যার দিকে
তার ঝুলিতে গিয়ে পড়ছে
বিসমিল্লা খাঁ
একজন খুনি মৃত্যু ছুড়ছে
মৃতজনের শরীরে বেঁচে উঠছে
রাগ ভৈরবী
নদী কোনো ইতিহাসের বই নয়
পাখির ডানায় আসা নতুন পালক
বিদ্যা বিনয় দান করে
ফেনা হ’য়ে উপচে পড়েছে একদিন
আজ কেবল একটা তারিখের ফসিল
আজ কেবল অবাক হ’তে হবে
বলতে হবে — অসাধারণ
আজ নিজেকে ভিজে ন্যাকড়া দিয়ে মুছতে হবে
আর কেনা ও রেডিমেড আলপনায় সাজাতে হবে
অস্তিত্বহীন নাগাল
যে কোনোদিন নারকেল গাছে উঠে
সংগ্রহ করেনি তৃষ্ণার পানীয়
সে হাতে ডাব পেলে একটা স্ট্র খুঁজবেই
সাদা পাঞ্জাবির খাতিরে
দেমাকে আমার পা পড়তে চাইছে না
আমার ভালোমানুষীর মুখোস
মানতে চাইছে না যে
নির্বিষ সাপের ফণা থাকে না
কেবল ডুবুরির চোখের ভুরু থেকে জানা গেলো
জল নেই ভূমধ্যসাগরে