এতদিন পরেও তাকে দেখে আমার বুক কাঁপল
এতদিন পরেও তাকে দেখে আমি ভিড়ের মধ্যে
হারিয়ে ফেললাম
এদিক ওদিক তাকিয়ে আমি লাল শালোয়ার
খুঁজতে খুঁজতে
দেখতে পেলাম একটি পুরুষ হাত ধরে তার
চলে যাচ্ছে শপিংমলের গুহার ভিতর
বাচ্চা ছিল সঙ্গে তাহার, আলো ছিল পণ্যভরা
সেই যে দেখা চোখের জাদু , ছিল-
যেমন আটটি বছর আগে একদিন
বজ্রবিদ্যুৎ
মায়াবী ওর মুখের আলোয় আমার লেখা
আমার নদী আমার স্রোত আমার রাস্তা-
অন্য কারও হয় কী করে?
কী করে যে দূর হয়ে যায় টের পাইনি আজও আমি
টের পাইনি বুকের ক্ষত
একাকী এক স্রোতের মতো
লম্বা নদীর কিনার ধরে
বইতে থাকে
সেফটিপিন অথবা বজ্রপাঠ
বুক থেকে খুলে নিয়েছিলাম, কবে?
আজ এই ড্রয়ারে কেমন অযত্নে পড়ে আছে।
খুলেছিলাম সাবধানে, যাতে ফুটে না যায় বুক,
স্তনের নরম। রেখে দিয়েছিলাম কাছে, আর
জুড়তে পারিনি ছেঁড়া বোতামের ঘর-
তুমি শাড়িটি জড়িয়ে ঠিক সন্ধ্যার ওপারে বাড়ি।
বাড়ি গিয়ে দেখেছিলে আঙুলের খেলাচিহ্ন
কতখানি মাংসে গেঁথে আছে?
খুলে নিয়েছিলাম তাই সাবধানে, সন্তর্পনে
ফেরত দেওয়া হয়নি আর।
ঘরে এসে তা’বলে ফেলে দিইনি যেখানে খুশি
অবহেলায়।
আজ এই কলম খুঁজতে গিয়ে ড্রয়ারে দেখলাম
তোমার বুকের গন্ধমাখা সূচাগ্র বিদ্যুৎ।
আঙুলে ফোটালাম, মৃদু রক্ত, ঘন, দ্যুতিময়
চুম্বন-
কবে খুলেছিলাম?
যেদিন আচমকা বৃষ্টি
যেদিন অন্ধকার ছুটে এসেছিল অবেলায়
যেদিন জামায় ছিল অশ্লীল স্বাধীনতা?
তোমার পাশে বসে, জানলা বন্ধ, অসংযত
তোমার ঘন নিশ্বাস। তোমার উষ্ণ বুকের
শক্তবাঁধা খাঁচা
আমি খুলে ফেলেছিলাম। আজ সেই আঁচ
অসামান্য আগুনের মতো
আমার কাছে এসে বসে।
আমি আবার পাঠ নিই বজ্রের।
চমৎকার
যে তোমাকে মিথ্যে বলে এগিয়ে গেছে
যে তোমাকে সামনে রেখে হাসিল করেছে কাজ
যে তোমাকে বন্ধু বলে ভাবে, এবং
গোপনে সুড়ঙ্গ খোঁজে স্বভাববশত
যে তোমার খুলে দেওয়া দরজায় মাথা গলিয়ে
বেশরম ঢুকে পড়ে প্রাপ্তির মাঠে
সে কখনও যুদ্ধের সামনে আসে না
মুখোমুখি হয় না তোমার আগুনের সাথে
উলটে চিমটি কাটে পিছনে তোমার
তেতো মদ গ্লাসে ঢালে, উল্লাস
প্রেমিকার স্তন মুচড়ে বলে, স্যরি
যে তোমার সমুদ্রযাত্রায় নিজেরই চোখ ফুটিয়ে
দেখেছে অন্ধকার, বসে থাকে ঈর্ষার ঢেউয়ে
সে একদিন তোমাকে এসে বলবে তবুও
‘ভাল আছিস? কতদিন দেখা হয়নি বল !’