কবিতায়ণে পূর্ণ চন্দ্র গোস্বামী

আমি যদি পাখি হতাম

আমি যদি পাখি হতাম
পেতাম দুটি পাখা,
অনেক দূরে উড়ে যেতাম
কেউ পেতনা দেখা।
মা ও বাবা দাদু ঠাম্মা
পেত ভীষণ ভয়,
আমি তখন চলেছি যে
করতে আকাশ জয়।
অনেক দূরে ঘুরে ঘুরে
দেখব যত আমি,
সেই  দেখাটাই হবে যে ভাই
অনেক বেশী দামী।
উড়তে উড়তে চলে যাব
গড়ের মাঠের উপর,
মনের আনন্দেতে রে ভাই
দেব আমি চক্কর।
গড়ের মাঠের এক ধারেতে
আছে শহীদ মিনার,
চূড়ার উপর বসব গিয়ে
সাধ যে তাকে দেখার।
সেখান থেকে ফুড়ুৎ করে
উড়ে যাব ইডেন,
ইডেন গার্ডেন যেন রে ভাই
কলকাতারই হেভেন।
বাগান আর খেলার মাঠ
দুটোই আছে সেথায়,
স্টেডিয়ামে বসে সবাই
খেলা দেখে যেথায়।
ইডেন থেকে দেখা যাবে
হুগলী নদীর উপর,
হাওড়ার ব্রীজ দাঁড়িয়ে আছে
যেন মাথার টোপড়।
এক নিমেষে চলে যাব
হাওড়া ব্রীজের মাথায়,
সেথায় বসে ভাবব আমি
এবার যাব কোথায়।
অনেক দূরে দেখা যাবে
হুগলী নদীর বুকে,
বিদ্যাসাগর সেতু ঝোলে
দুটি পিলার থেকে।
হুগলী নদীর উপর দিয়ে
উড়তে উড়তে শেষে,
বিদ্যাসাগর সেতুর মাথায়
বসব আমি এসে।
সুন্দর এক সৌধ আছে
একটি খানি দূরে,
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল
বলে সবাই তারে।
ভিক্টোরিয়া দেখতে রে ভাই
তাজমহলের মতো,
সারাবছর দেখতে মানুষ
যায়যে শত শত।
ভিক্টোরিয়ার পরীর মাথায়
বসব আমি গিয়ে,
সেখান থেকে চারিদিকে
দেখব আমি চেয়ে।
হঠাৎ করে পড়বে মনে
চিড়িয়াখানার কথা,
ভিক্টোরিয়া থেকে আমি
চলে যাব সেথা।
চিড়িয়াখানার মাঝে আছে
একটি জলাশয়,
শীতকালেতে অনেক পাখী
নেয় সেথা আশ্রয়।
কত জাতের পাখী আসে
দেশ ও বিদেশ থেকে,
কিছুদিনের জন্য তারা
এই খানেতেই থাকে।
পাখী হয়েওআমি কিন্তু
থাকব না কো সেথা,
ফিরে আমায় যেতে হবে,
বাড়ি আমার যেথা।
চিড়িয়াখানার খাঁচার ভিতর
বাঘ সিংহ ছাড়া,
হাতি,গণ্ডার,ভালুক,জিরাফ
আরও আছে যারা,
উড়ে উড়ে একে একে
সব দেখা শেষ করে,
দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে
আসব বাড়ি ফিরে।
একটি দিনের পাখী হয়ে
কত অজানাকে
জানতে পারার সকল কথা
বলব বাবা মাকে।
তোমরা যদি আমার মতোন
একদিনেরই তরে,
পাখী হতে পার,তবে
দেখবে এসব ঘুরে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।