কবিতায়ণে দেবাশিস তেওয়ারী

জন্ম ১৯৮২ সাল ১৪ ই জানুয়ারি।২০০২ সালে দেশ পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে বৃহত্তর পাঠক সমাজে পরিচিতি। নিয়মিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি।আকাশবাণী কলকাতায় নিয়মিত কবিতা পাঠে অংশ নেন। অনুবাদ সাহিত্যে আগ্রহী।এযাবৎ কবিতাগ্রন্থের সংখ্যা ৬। প্রচুর পড়তে ও হাঁটতে ভালোবাসেন।

চাঁদ মানে আসমানি কিতাব

স্তবকের পর স্তবক সাজিয়ে চাঁদকে ধরবার কথা যত ভাবি,বিষাদ সন্ধ্যায় এলোমেলো হাওয়া ওঠে।নির্দ্ধিধায় সমস্যার ব্যাকরণ ভেঙে সমাসক্তি অলংকার জাগিয়ে প্রদীপ শিয়রে রাখি।ভাঙা কুঁড়েঘর থেকে জোছনার চাল এসে ভাসায় বিছানা।আমাকে ভ্যাঙায় কত নিবু নিবু দু’হাতের ফালি।সমষ্টির উপমা ছাড়িয়ে, দাম্পত্যের বেড়াজাল ঠেলে এক একটি স্তবক যেন ভাঙাচোরা মই, ফেঁড়ে উর্দ্ধে উঠতে চায় আর পেড়ে আনতে চায় ওই আসমানি কিতাব।

স্বপ্ন

একবার এক নির্ভেজাল স্বপ্নের পিছনে ছুটেছিলাম আমি আর আমার গোটা পরিবার।স্বপ্ন উড়তে উড়তে ছুটল মেঘে,মেঘ থেকে রামধনুতে তারপর সূর্যের সাতরঙ মেখে সে মিশে গেল বৃষ্টিফোটায় মাটির রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
প্রখর ঘ্রাণ এসে তাকে ঢেকে দিল।মাটি উর্বর হল।গাছ ফলন্ত হল।ফুটে উঠল সেই স্বপ্ন আমার ছোট্টো টবে।আমি চিনতে পেরেছিলাম বলেই সার্থক ছিল আমার স্বপ্নালু দিনগুলি।

সত্যকে আড়াল করে রাখে

এক একটা ছায়াশরীর থেকে জন্ম নেওয়া অসহ্য বেদনার গাত্র —- বৃষ্টিদিন প্রতিফলিত করে তোমার সূর্যালোক বেজে ওঠে সপ্তসুরের রামধনু ধ্বন্যালোক থেকে জেগে উঠলে পৌরপন্ডিতেরা গ্রহণের ভূমিকায় সত্যকে আড়াল হতে দেখে।
সেই সত্য পাহাড়ের শত পাক থেকে বর্ষণমুখর রাত্রি যাকে ভেবেছিল
পাকদণ্ডি থেকে যাকে মনে হয়েছিল তিনি উদ্দেশ্যবিহীন
অন্ধ এক ঔদ্ধত্য দেখতে দেয় না সেই প্রতিমাকে, ছবি শুধু সত্যকে আড়াল করে রাখে।

বিশ্বাসের ছায়া

ছায়া থেকে জন্ম নেওয়া যে অন্যায়ে তুমি আজ বর্ষণ চেয়েছ। যে অন্যায়ে ভারাক্রান্ত পিঠ কুঁজো হয়ে ঝুঁকে পড়ছে সামনের খাদানে,সেখানে সোনাও ফলে, কয়লার দোসর।তুমি আজ খনি থেকে জন্ম নেওয়া বীজমন্ত্র,তুলসীতলার নীচে যতটুকু ছায়া ধরে ততটুকু আস্তিনে জড়িয়ে, হেঁটে যাও ছাদনাতলায়।প্রথম প্রণয় থেকে খসে পড়লে উপবন মনের দ্রাঘিমা জুড়ে ঘন হয় মেঘেবজ্রে আরও বেশি বিশ্বাসের ছায়া।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।