কবিতায়ণে উমাপদ কর

জন্ম ১৯৫৫, স্থান বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ। বর্তমানে কলকাতাবাসী। ফিজিক্সে স্নাতক এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মচারী ছিলেন। যৌথ সম্পাদনা: ‘শ্রাবস্তী’, কর্মী: ‘রৌরব’ ইত্যাদি লিটিল ম্যাগাজিন। অল্পদিনের জন্য হলেও একসময় পারফর্মিং আর্টের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। নাটক, থিয়েটার, আবৃত্তি, ভাবনাট্য, নৃত্যনাট্য। অংশগ্রহণ করতেন বিতর্ক, সেমিনার, অপূর্বপরিকল্পিত ভাষণ ইত্যাদিতে। কবিতার টানে একসময় নিজেই এসব বন্ধ করে দেন। মূলত কবিতা ও কবিতা বিষয়ক গদ্য লেখেন। সামান্য গল্প ও অন্য গদ্য। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ঋতুপর্বের নাচ (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৭), কয়েক আলোকবর্ষ দূরে (রক্তমাংস, ২০০২), পরিযায়ী চলো (রৌরব, ২০০৫), ভাঙা পিয়ানোর পা (ভাষাবন্ধন, ২০০৯), অপর বসন্ত (কবিতা ক্যাম্পাস, ২০০৯), ধনুক কথায় স্বর (৯য়া দশক, ২০১১), নদীতে সায়ং ভেসে যায় (এখন বাংলা কবিতার কাগজ, ২০১৪), নৈর্ঋতে বিষুবে (আকাশ, ২০১৭), নামিয়ে রাখা চোখ (সৃষ্টিসুখ, ২০১৮)। দীর্ঘ কবিতার সংকলন, বালুমানুষের ঝুনঝুনাৎ (সৃষ্টিসুখ, ২০১৬)। আনারকলির তানপুরা (এখন বাংলা কবিতার কাগজ, ২০১৯)। শিরোনামহীন পুতুল (ত্রিষ্টুপ, ২০১৯) প্রকাশিত গদ্যগ্রন্থ: রিলেদৌড়ের অনিঃশেষ (ঐহিক, ২০১৭) এবং রবীন্দ্রকবিতাঃ আজকের উঠোনে (খড়িমাটি, ২০১৭)। প্রকাশিতব্য গদ্যগ্রন্থঃ আবহমান পাঠঃ তেরো আকাশ (সৃষ্টিসুখ, ২০১৯) এবং কণিকা পাহাড়, কণা হিমালয় (খড়িমাটি, ২০১৯)। ভালবাসেন ঘুরতে, থিয়েটার দেখতে, গান শুনতে, চিনে বাদাম খেতে, ছোট মাছ খেতে, বন্ধুদের সঙ্গে দেদার আড্ডা সপান। মনে করেন কবিতাই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে শত বিয়োগেও।

নিমিখ          

(বাংলাভাষায় হাইকুস্বাদ)

 

১৬৫
ধাপে পাইন
       সবুজ মখমল
দাহ মলম
১৬৬
রত্নগাছ
       রঙিন জলে মূল
স্লিম শাওন
১৬৭
শোক অশোকে
        খেয়ালি শীত শেষে
বামন ভেলা
১৬৮
ভেজা পাহাড়
        গুহা অন্ধকার
তল অতল
১৬৯
অপার জল
        রজশ্রান্ত মেঘ
ভেলা ভ্রমণ
১৭০
নীল আগুন
      শীতের মল্লিকা
তারা খসল
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।