• Uncategorized
  • 0

ওপার বাংলার কবিতায় জুয়েল মাজহার

মানুষের উপাখ্যান  

১.

তোমার উদ্দেশে আমি বহুস্তর বুলাভা মিসাইল
স্বপ্নে নয়, ঘুমে পাঠালাম
অন্তরীক্ষে বায়ুসেনা
শত্রুতার মোহে কতো র‌্যাপ্টর-সুখোই বিমান

২.

মানুষ নিজের কাছে হয়ে যায় পর!
আস্তিনে ছুরিকা নিয়ে। মর্মমূলে আত্মঘাত নিয়ে।

৩.

মানুষেরা আপন খুলিতে আজ যাচ্ঞা করে লোহুর শরাব;
নিজেই নিজের লেজ গিলে খায় আত্মগর্বী সাপ;
শরীর পেঁচিয়ে মরে। শরীর পেঁচিয়ে শুধু মারে;

৪.

মানুষের চিন্তা, প্রেম, স্নেহ ও ঘৃণার মর্মে
ওত পেতে থাকে বুমেরাং ;
দূষণমেঘের নিচে অবিশ্রাম কার্বনে কার্বনে
মেদুসার-মনসার-হাইড্রার সকুণ্ডল নড়ে ওঠে সাপ

৫.

লিথিজলে রাত্রি নামে। বিস্মরণ! তরী যায় ডুবে!

৬.

মানুষ চাইছে শুধু জতুগৃহ, যুদ্ধ, হ্রেষা, রক্তহোলি, খুলি আর জয়।
—-মধুমেহরোগীগণ যে নিয়মে ইনসুলিন চায়;
হালাকু-চেঙ্গিস আজও ঘরে ঘরে কাটামুণ্ডু
ঘরে ঘরে ঈর্ষা-মদ উপহার হিসেবে পাঠায়;
সোনার থালায় ভরে, রুপার থালায় ভরে প্রেমের মোড়কে
চুম্বনের ছদ্মবেশে মানুষেরা মানুষীকে পাঠায় ছোবল

৭.

মহাশয়গণ শুধু শংসা চায়, দর্প চায়
করতল লাল করে কুরুক্ষেত্রে দামামা বাজায়;

৮.

মুর্খ ও গরিব লোক সামান্য তণ্ডুল পেতে
করতালি দ্যায় কিংবা বাধ্য হয় দিতে;
মূর্খ ও গরিব লোক আজীবন মুগ্ধ থাকে রঙিন ফানুসে

৯.

ভয়ে কাঁপে বসুমতি। মনুষ্য-প্রেতের লোল জিভ;
গর্জে ওঠে ধর্মাধর্ম, শকুনির হাসি আর হিংসার কামান
মানুষের খিড়কিপথে মানুষ পাঠাতে থাকে সংখ্যাহীন রণ-বায়ুযান
নখ-দন্ত-ভল্ল-তূণে মৃত্যুগামী মনুষ্যউত্থান

১০.

কৃমিভরা পেট নিয়ে দরিদ্র লোকেরা সব নিরুপায় ক্রোধে
মনুষ্যজাতির মুখে করে চলে অনন্ত পেচ্ছাপ
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।