সোমু সারাদিন হনহন করে পায়চারি করছে। মা বললো কিরে সমু নাওয়া-খাওয়া নেই, কথাবার্তা নেই সকাল থেকে দেখছি মুখভার করে ঘুরে বেড়াচ্ছিস, হলোটা কি? আর বলোনা মা খুব সমস্যায় পড়েছি একটা লেখা নিয়ে। কিছুতেই ঠিকমতো আসছে না।
সোমু মোবাইলের দিকে ঝুঁকে পড়ে বলে চলে – আরে প্রকাশক শব্দ সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে। অতো অঙ্ক কষে আবার লেখা যায়। মোটে তিনশ’ শব্দ। মা বললো -তা হলো এখন?
-ঐ হলো কোনক্রমে। যাই অশেষ বাবুকে হোয়াটস্ এপে গল্পটা পাঠাই।
হোয়াটস্ এপে অনলাইনেই ছিল প্রকাশক অশেষ বাবু।
সোমুর মোবাইলে অশেষ বাবুর নামটা সেভ আছে হিপোশেষ। আসলে অশেষ বাবুর জলহস্তী সদৃশ কাঠামোকে মনে রেখেই এই নামকরণ। তা হিপোশেষকে লিখে পাঠালো সোমশুভ্র রায়- আছেন তো দেখছি, লেখাটা পাঠাই?
ঐদিক থেকে উত্তর এলো- পাঠাও।
সোমশুভ্র-
: পাঁচুগোপালের অদ্ভুত কলম:
-সোমশুভ্র রায়।
পাঁচুগোপাল নাকি অনেক কিছুই অসাধ্য সাধন করতে পারে । অন্ততঃ এলাকার লোকের তেমনটাই ধারণা। কেউ বলে ছেলেটা পিশাচসিদ্ধ, কেউ বলে অতিমানব। আবার এলাকাতে দু’চারজন নিন্দুক যে নেই এমনটা নয় যদিও। তারা বলে সব চালাকি আর ভেল্কির খেলা। কিন্তু সবারই সমস্যা অন্য জায়গায় তা সে ভক্তই হোক কি নিন্দুক- এসব করে তার বস্তুগত লাভটা কি? কেউ পায়ে পড়লেও হাত সে দেখে দেবেনা। পরিস্কার বলে দেবে জ্যোতিষ আসলে বুজরুকি। বাচ্চার শরীর খারাপ হলে ওকে যদি মরিয়া ভাবে কেউ গিয়ে বলে- বাছাটার মাথায় একটু হাত রেখে বলে দাও বাবা যে ও সেরে যাবে। তুমি বললেই ….। ধমকে বলে উঠবে সে – এখানে সময় নষ্ট না করে জলদি ডাক্তারের কাছে যান। আমি ডাক্তার নই। প্লেন বিএসসি। অনার্স তক পাইনি।
গল্পটা প্রথম ছড়িয়েছিল যখন জীবন ঘোষ মরে। এমনিতে পাঁচুগোপালের অদ্ভূত সব কান্ডকারখানা দু’চারজন জানতো। সে নাকি একদিন একটা দু’তলা ছাদে তার জনা চারেক বন্ধুর সামনেই হেঁটে হেঁটে ছাদ থেকে সোজা নীচে। আবার প্রায় সাথে সাথেই দোতলার ছাদে উঠে আসে। একবার হারু মন্ডলকে তার হারিয়ে যাওয়া টাকার হদিস বলে দেয়। তারপর আসে একটা অদ্ভুত কলমের আখ্যান।
সমাপ্ত
দুটো রাগের ইমোজি দিয়ে হিপোশেষ লিখলো – এটা কি হলো?
সোমশুভ্রের ঊত্তর চলে এলো সাথে সাথে- এই হয়েছে তোমার বাপের ভাগ্য ভালো। তিনশ’ শব্দের গল্প চাই না রে হিপোপটেমাস?বেরো।