বেদম স্টাইলিশ ছেলেটা বারবার সামনের সিটে বসা বেহেস্তের হুরকে দেখছে আর আমি দেখছি ছেলেটাকে । যখনই ছেলেটা মুখ ফেরাচ্ছে তখনই আমার চোখে ওর চোখ এবং ঝক্কাস চোখাচোখি সিন । ছেলেটা অপ্রস্তুত আমারও একটু ন্যাকাপনা বিরক্ত-ভাব ।এদিকে হুরটি ছেলেটিকে পাত্তাই দিচ্ছে না … বেচারা অগত্যা ট্রেনের জানালা দিয়ে ধানখেত দেওয়াল-লিখন শৌচকর্ম জাতীয় অ-কাব্যিক কোলাজকে পিছনে হাঁটতে দেখছে আর আমি চান্স পে ডান্স মারছি । আপাদমস্তক গিলছি ওকে । কি ফিজিক মাইরি ! আর ফেস কাটিং ? কিছুটা অর্জুন রামপাল কিছুটা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। বেশ মারকাটারি স্যাম্পল্ একখানা । যতই দেখছি ততই আমার দিল্ কে অন্দর সে একটা সিডাক্টিভ টিউন ছলকে আসছে ঠোঁটে । রঙটা আমার কালো হলে কি হবে , মুখশ্রীতেই বা কি এসে যায় ! উপরওলা আমায় সব জায়গায় মারেননি বাপু, শরীর আমার দিব্য ডাগর-টাইপ তাই ঝোপ বুঝে কোপ মারার কায়দায় আমি আঁচলটা হাল্কা একটু সরিয়ে .. লাগ্ ভেলকি লাগ্ বলতেই স্টাইলিশের চোখ কুইকফিক্সের মতো সটান সেঁটে গেল গিরিখাতে ।
হুঁ হুঁ বাবা পথে এসো এবারে, ঐসব জিরো ফিগারের হুরি বা পরিতে মনের ভার কাটলেও শরীরের ধার কাটে না বস্ ,ওসব ফ্যাশান ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদেই ঠিক আছে । সে যাক গে ,কসরৎ করে মাছটা যখন বড়শিতে গেঁথেই ফেলেছি তখন এই আখাম্বা ট্রেনজার্নিটা অন্তত আলুভাতে মার্কা হবে না । এখন তো ঘণ্টা-তিনেক স্টইলিশের চোখেই ভিজি তারপর গন্তব্যে নেমে টা-টা বাই বাই করে দিলেই চলবে ।
উরিব্বাশ ! স্টাইলিশটার পেটে পেটে এতো ? আমি স্টপে নামতেই দেখি স্টাইলিশও নামলো.. কেস তো পুরো জমে দই দেখছি …আমিও খাপে খাপ পুলকিত । যেই না ভেবেছি ওকে বাগিয়ে ঘন্টা খানেকের মারহাব্বা ইচ্ছে-উড়ান দিই ,পিছন থেকেই স্টাইলিশ বলল “তুমি টুপাইদি না ? আমি দুবছর পড়েছি তোমার কাছে… আমার তখন গোঁফ ওঠেনি কিনা তাইই বোধ হয়….”
টাই টাই ফিশশশশ্.. পুরোটাই ল্যাদ খেয়ে গেলাম … ।
আকাশ কোথায় যে উড়বো ! এতো সুতো না ছাড়তেই গোঁত্তা খেয়ে সিধে ভোকাট্টা কেস ।