• Uncategorized
  • 0

অণুগল্প ১ বৈশাখের বিশেষ সংখ্যায় মানসী কবিরাজ

ভোকাট্টা 

বেদম স্টাইলিশ ছেলেটা বারবার সামনের সিটে বসা বেহেস্তের হুরকে দেখছে   আর আমি দেখছি ছেলেটাকে । যখনই ছেলেটা  মুখ ফেরাচ্ছে তখনই আমার চোখে ওর চোখ এবং  ঝক্কাস  চোখাচোখি  সিন । ছেলেটা অপ্রস্তুত আমারও একটু ন্যাকাপনা বিরক্ত-ভাব ।এদিকে  হুরটি  ছেলেটিকে পাত্তাই দিচ্ছে না … বেচারা  অগত্যা ট্রেনের  জানালা দিয়ে  ধানখেত  দেওয়াল-লিখন শৌচকর্ম জাতীয় অ-কাব্যিক কোলাজকে পিছনে হাঁটতে দেখছে আর আমি চান্স পে ডান্স মারছি । আপাদমস্তক  গিলছি  ওকে । কি ফিজিক মাইরি !  আর ফেস কাটিং ?  কিছুটা অর্জুন রামপাল  কিছুটা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি।  বেশ  মারকাটারি  স্যাম্পল্ একখানা ।  যতই  দেখছি ততই আমার দিল্ কে অন্দর সে একটা সিডাক্টিভ টিউন ছলকে আসছে ঠোঁটে  ।  রঙটা আমার কালো হলে কি হবে , মুখশ্রীতেই বা কি এসে যায় ! উপরওলা আমায় সব জায়গায় মারেননি বাপু, শরীর আমার দিব্য ডাগর-টাইপ তাই ঝোপ বুঝে কোপ মারার  কায়দায়  আমি আঁচলটা হাল্কা একটু  সরিয়ে .. লাগ্  ভেলকি লাগ্ বলতেই  স্টাইলিশের চোখ   কুইকফিক্সের  মতো সটান সেঁটে গেল গিরিখাতে  ।
হুঁ হুঁ বাবা পথে এসো এবারে, ঐসব জিরো ফিগারের হুরি বা পরিতে মনের ভার কাটলেও শরীরের ধার  কাটে না বস্ ,ওসব ফ্যাশান ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদেই ঠিক আছে । সে যাক গে ,কসরৎ করে মাছটা  যখন বড়শিতে গেঁথেই ফেলেছি  তখন এই  আখাম্বা  ট্রেনজার্নিটা  অন্তত  আলুভাতে মার্কা হবে না । এখন তো ঘণ্টা-তিনেক   স্টইলিশের চোখেই ভিজি তারপর গন্তব্যে নেমে  টা-টা বাই বাই  করে দিলেই চলবে ।
উরিব্বাশ ! স্টাইলিশটার পেটে পেটে এতো ? আমি স্টপে নামতেই দেখি স্টাইলিশও নামলো.. কেস তো পুরো জমে দই দেখছি   …আমিও খাপে খাপ পুলকিত । যেই না ভেবেছি ওকে বাগিয়ে ঘন্টা খানেকের মারহাব্বা ইচ্ছে-উড়ান দিই ,পিছন থেকেই স্টাইলিশ বলল “তুমি টুপাইদি না ? আমি  দুবছর পড়েছি  তোমার কাছে…  আমার তখন গোঁফ ওঠেনি কিনা তাইই বোধ হয়….”
টাই টাই ফিশশশশ্.. পুরোটাই ল্যাদ  খেয়ে গেলাম …  ।
 আকাশ কোথায় যে উড়বো ! এতো  সুতো না ছাড়তেই গোঁত্তা খেয়ে  সিধে ভোকাট্টা কেস ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।