অণুগল্পে পারমিতা মন্ডল

সুখটান

সিগারেটে সুখটান দিতে দিতে হাতে হুইস্কির গ্লাস তুলে নেয় রাই। মিত্তল দের পার্টিতে বরের সাথে এসেছে। যীশু বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে,”তিন পেগ হয়ে গেছে, আর না, এবার চল”। রাই এমনিতেই জেদি স্বভাবের।নেশায় ঢুলতে ঢুলতে গানের সাথে সাথে গা দোলাচ্ছে।রাই কে বেশ সুন্দর দেখতে। যেমন ফর্সা তেমনি ফিগার। ব্ল্যাক সর্ট ড্রেসে মানিয়েছেও ভালো।তাই বেশ কিছু লোকের দৃষ্টি ও আকর্ষণ করছে রাই।”না,এখনো অনেক এনজয় করবো”।যীশুর কাঁধে মদের গ্লাস ঠেকিয়ে বলে রাই। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে যীশু রাই কে একপ্রকার টানতে টানতে বাইরে নিয়ে যায়।রাগে ফেটে পড়ে রাই।
– কি হয়েছে! আমি যখন ড্রিঙ্ক করতাম না, সর্ট ড্রেস পড়তাম না তখন তোমার রাগ হোত। বলতে এই সোসাইটিতে আমি বড্ড বেমানান।এখন আমি নিজেকে তোমার মনের মতো তৈরি করেছি,তাতেও আপত্তি!
একমনে মাথা নিচু করে শুনছিল যীশু। সত্যিই তো। যখন সেই লাল শাড়ি পড়া মেয়েটা সিঁথি ভর্তি সিঁদুর পড়ে লম্বা একটা বেণী বেঁধে যীশুর চারপাশে ঘুরতো,অসহ্য লাগতো যীশুর। তবে আজ কেন এতো খারাপ লাগছে।সে ই তো প্রথম রাই কে নিয়ে যায় পার্লারে গ্ৰুমিং করাতে। লম্বা চুল কেটে ছোট করে দিতে বলা হয়। সেদিন সারারাত কেঁদেছিলো রাই মুখে বালিশ চেপে।পাশে শুয়ে যীশু বুঝতে পেরেছিল কিন্তু সোসাইটিতে এইরকম একটা বউ নিয়ে চললে লোকে কি বলবে!! কথাগুলো একে একে মনে পড়ছিল যীশুর।রাই অঝোরে কাঁদছে। যীশু কাছে গিয়ে নিজের কোট টা খুলে রাইয়ের গায়ে জড়িয়ে বলল “চল, এবার বাড়ি ফিরে যাই, তোমার ঠান্ডা লেগে যাবে।”
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।